/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/09/CBF7JvTT9ozUtGIcku8h.jpg)
জনতার মন পেতে ঢাল মমতা-অভিষেকেরই 'টেকনিক'! 'এক ফোনে বিধায়ক', পরিষেবা চালু দাপুটে তৃণমূল নেতার
সামনেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেকে জনদরদী প্রতিপন্ন করতে আসরে নেমে পড়লেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। এর জন্য তিনি দলীয় সুপ্রিমোর ‘দিদিকে বলো’ এবং দলের সেকেন্ড ইন কমাণ্ডের ‘এক ডাকে অভিষেক’ এর অনুকরণে ‘এক ফোনে বিধায়ক খোকন দাস’ নাম দিয়ে ফোন নম্বর চালু করলেন। বুধবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বর্ধমানের কাঞ্চননগরে বিধায়ক অফিস থেকে খোকন দাস নিজেই এই হেল্পলাইনের সূচনা করলেন। এ নিয়ে বিরোধীরা নানা কটাক্ষ করলেও বিধায়ক খোকন দাস অবশ্য সে সবকে পাত্তা দেননি।
এদিন একেবারে আটপৌরে ভাবেই বিধায়ক খোকন দাস তাঁর হটলাইন ফোন নম্বারের সূচনা করেন। এই ফোন নম্বারে ফোন করলে সাধারণ মানুষ কি সহায়তা পাবে তার ব্যাখ্যায় খোকন দাস জানিয়েছেন। যে কোনও সমস্যায় পড়া মানুষ ‘এক ফোনে বিধায়ক খোকন দাস’ নম্বরে ফোন করলে তার সমস্যার সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হবে। তিনি এও জানান, কেউ যদি খেতে না পান, ফোনে তা জানালেই দুবেলা খাবার পৌঁছে যাবে তাঁর বাড়িতে। এর মধ্যেই দুবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে স্বল্পমূল্যে। কঙ্কালেশ্বরীতলায় ১০০ কম্পিউটার নিয়ে সেন্টার গড়া হচ্ছে। একেবারে বিনামূল্যে ফাইভ থেকে এইটে পড়া ছেলেমেয়েরা এর সুযোগ পাবেন। অন্য সমস্যাও বলা যাবে বলে বিধায়ক জানান।
শিক্ষক পিটিয়ে অবশেষে পুলিশের জালে দাপুটে তৃণমূল নেতা, চাপের মুখে নতিস্বীকার?
বর্ধমান শহরবাসী তো বেহাল নিকাশী,ভাঙা রাস্তা, এসব নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে রয়েছে। এই দুর্ভোগ কবে কাটবে? এর জবাবে বিধায়ক জানান, অনেক জায়গায় কাজ চলছে। আরও কাজ হবে। তবে ফোন করলেই এইসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমন আশ্বাস অবশ্য বিধায়ক দেননি। বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার ও বিধায়ক খোকন দাস মাস খানেক আগে ফলাও করে ঘোষণা করেছিলেন বর্ধমান শহরের রাস্তা পুরো বদলে যাবে পুজোর আগে। কিন্তু তা হল কোথায়? বর্ধমান শহরের অনেক নাগরিক সেই প্রশ্ন এদিন তোলেন।
কংগ্রেস নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, "শহরে রাস্তার হাঁড়ির হাল। সামান্য বৃষ্টিতে জিটি রোড থেকে বিসি রোডে প্লাবন হচ্ছে। এই অবস্থায় যদি দুর্গাপুজোয় বৃষ্টি হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। প্রায় একই কথা বলেন বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র।" তিনি বলেন, "বিধায়ক খোকন দাস সারা বছরই মেলা খেলা নিয়ে নাগরিকদের ব্যস্ত রাখেন। লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা শহরের উন্নয়ন চান। ভালো পরিষেবা চান। এবার বিধানসভা নির্বাচনেও নাগরিকরা ইভিএমে সেটা বুঝিয়ে দেবেন বুঝতে পেরে খোকন দাস এখন জনদরদী সাজতে চাইছেন। তবে এসবে লাভ কিছু হবে না।"
IMD FORECAST: পুজোর আগে বিরাট দুর্যোগের চূড়ান্ত সতর্কতা, কোন কোন জেলায় টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা?