আবারও রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া শহরে। দাদার মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন বোন। কলকাতার অদূরে নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় তাজ্জব সকলে। মৃত দাদার সঙ্গেই বসবাস করছিলেন বোন। দুর্গন্ধ পেয়ে ঘরে ঢুকতেই মেলে মৃতদেহ। মৃত ৬৫ বছর বয়সী দাদা অঞ্জন কুমার দে-র সঙ্গেই থাকছিলেন ৬০ বছর বয়সী মিনতি দে। পরে পুলিশ গিয়ে মিনতিকে উদ্ধার করে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঠিক কবে অঞ্জন কুমার দে’র মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুরে একটি আবাসনে থাকতেন মিনতি দে ও অঞ্জন দে। আবাসনের ব্লক বি-র ৫ তলায় মিনতিদের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পান অন্যান্য বাসিন্দারা। এরপরই যখন তাঁদের বাড়ির দরজায় ধাক্কা মারেন নিরাপত্তা রক্ষী, তখনই দেখেন দরজা খোলাই রয়েছে। ঘরের ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, বিছানায় অঞ্জনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় মৃত ব্যক্তির চোখ খুবলে খেল ইঁদুর! উত্তাল আরজি কর
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘দেহে পচন শুরু হয়েছে। ঠিক কবে উনি মারা গিয়েছেন, তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে’’। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদার সঙ্গে একলাই থাকতেন মিনতি। আরেক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘দাদার মৃত্যুর ব্যাপারে উনি খুব বেশি কিছু বলতে পারেননি। মনে হচ্ছে, উনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ওঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। মনে হচ্ছে, ২-৩ দিন আগে মারা গিয়েছেন অঞ্জন’’। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিনতির শারীরিক পরীক্ষার পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে মৃত দিদি ও পোষ্যের কঙ্কাল আঁকড়ে বসেছিলেন ৪৪ বছর বয়সী পার্থ দে। যে ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে। পার্থর বাবা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হন। পার্থর বাবার মৃত্যুর পরই গোটা ঘটনা সামনে আসে। এরপর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে। ফ্রিজে মায়ের দেহ রাখার ঘটনাও সামনে এসেছে। এ ঘটনায় শুভব্রত মজুমদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছিল কলকাতা পুলিশ।
Read the full story in English