Mobile phone scam: মোবাইল ফোন কেনার জন্য লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। টাকা দেওয়ার পরেও দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে EMI কাটা হচ্ছে। বিধাননগরের ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক মহিলা। তারই ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। শেষমেশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে সৌমিক ভট্টাচাৰ্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল ফোন কেনার জন্য গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন শুক্লা পোড়েল নামে এক মহিলা। তিনি পরে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় গিয়ে এই ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সৌমিক ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ জানান। লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে সৌমিক ভট্টাচার্য নামে ওই ব্যক্তি তাঁকে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ওই মহিলার। পরে EMI বাবদ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা শুরু হলেও তিনি কোনও মোবাইল ফোন হাতেই পাননি বলে দাবি তাঁর। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
মারাত্মক এই অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। তদন্ত চলাকালীন ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানার একটি দল মূল অভিযুক্ত সৌমিক ভট্টাচার্যকে হাওড়ার দাস নগর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার তাকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে পেশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কমপক্ষে ২০ জনের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন।
আরও পড়ুন- Smart Meter:স্মার্ট মিটার নিয়ে অবশেষে বিরাট সিদ্ধান্ত রাজ্যের, জারি হল নোটিশ
তবে পুলিশের অনুমান মোবাইল বিক্রির নামে প্রতারণার এমন অভিনব চক্রে শুধু সৌমিক ভট্টাচার্যই নয়, তার সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারেন। সেই কারণেই সৌমিককে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। গ্রেফতারের পর ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বেশ কয়েকবার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়েছেন সৌমিক। তাকে জেরায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। তবে এবার তাকে টানা কয়েকদিন হেফাজতে নিয়ে দফায় দফায় জেরা করতে চায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update: দিল্লিতে আজ মোদীর সঙ্গে বৈঠক অভিষেকের, কী নিয়ে আলোচনা? তুঙ্গে চর্চা!