নারদা মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ৫ লক্ষ টাকা কার কাছে গিয়েছে, এবার তা জানতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তলব করল রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যা তথা অভিনেত্রী-মডেল শ্রেয়া পাণ্ডেকে। সূত্রের খবর, শ্রেয়াকে ইতিমধ্যেই তলবের নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি। আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে হাজির হতে হবে তাঁকে।
ইডি সূত্রে খবর, নারদা তদন্ত করতে গিয়ে প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বর্তমানে বিচ্ছিন্ন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে তদন্তকারিদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
আরও পড়ুন: ইডিতে হাজিরা শোভনের, পাশে বৈশাখী
নারদার টাকা শোভনবাবুর কাছ থেকে কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে, সেই নিয়েই দ্বিধায় পড়েন ইডির আধিকারিকরা। টাকা কি শোভনবাবু নিজের কাছে রাখেন, না রত্না দেবীকে দেন? নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারোর কাছে যায় ওই টাকা? সূত্রের খবর, রত্না দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে শ্রেয়ার নাম। এবং নতুন মোড় নেয় তদন্ত।
ইতিমধ্যে, নারদা মামলায় ইডি শোভনবাবু ও রত্না দেবীর পাশাপাশি বৈশাখীকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু এবার নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে শ্রেয়াকে তলব করায়। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও চিটফান্ড কাণ্ডে শ্রেয়াকে তলব করেছিল ইডি।
এদিকে সোমবার সিবিআই চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রপ্তার করেছে সিলিকন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডি কে মিশ্রকে। সূত্রের খবর, এদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দপ্তরে। সকাল ১১ টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি তাঁর সামনে তুলে ধরা হয়। তাঁর কথায় অসঙ্গতি পাওয়ায় সিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, এদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় সিবিআইয়ের অন্য শাখার আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে সিলিকন গ্রুপের তিনজন ডিরক্টরকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। এই চিটফান্ড সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা।