বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির টিটাগড় পুরসভা প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী। গতকাল তলব না পেয়েও এসেছিলেন তিনি। তাহলে কি এ দিন ইডি-র সমন পেয়েছেন? পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে প্রশান্তের। সিজিও-তে এসেই টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানিয়েছেন এ দিন তাঁরে ডেকেছে ইডি। দাবি করেছেন, ২০১৪-১৫ সালে টিটাগর পুরসভায় যে নিয়োগ হয়েছিল সেই তালিকা তাঁকে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এসব নিয়ে এ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে অনুমান।
পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চলেছিল। টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, তল্লাশির দিনই তাঁর দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে হাজিরার দিন তাঁর সামনেই ওই দু’টি মোবাইলের সিল খুলে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইডি।
আরও পড়ুন- বালি চুরির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী, দলের লোকজনই যা ব্যবহার করল…
টিটাগড় পুরসভায় কী সত্যিই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল? বুধবার প্রশান্তবাবুর জবাব ছিল, ‘আমি যখন টিটাগড় পুরসভার প্রধান ছিলাম, তখন ২৪০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। মূলত নথিগুলি জমা দিতে হচ্ছে।’
পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গোন্দারা ইতিমধ্যেই বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, টিটাগড় ও উত্তর দমদম পুরসভায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ছাড়াও কয়েকবার তলব করা হয়েছিল বরাহনগরের পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিককেও।