/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/19/eScu8Ogd3BNfkPpKc5RR.jpg)
মন্তব্যে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
Kesto-Kajal Clash Birbhum: 'দলকে ভাঙিয়ে কেউ কেউ ব্যবসা করছে’। নাম না করে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সাবের আলি। অভিযোগ সভাধিপতি দলে বিভাজনের সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি কোর কমিটির কাছে জানাবেন বলে জানিয়েছেন সাবের আলি।
কুকথা কাণ্ডে গৃহবন্দি হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মুষড়ে পড়েছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতা কর্মীরা। এরই মাঝে উৎসাহিত হয়ে কাজল ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সভা করেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসে হাজিরা দিয়ে পরদিন দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন অনুব্রত। এরপর থেকেই ফের উৎসাহিত হয়ে অনুব্রতর সমর্থনে মাঠে নামেন ঘনিষ্ঠরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁইথিয়া ব্লকের হরিসরা গ্রামে সভা করেন সাবের আলি। সভায় তিনি বলেন, “বীরভূম জেলায় ১১ টি বিধান সভার সিটে জয়ী করতে পারেন একমাত্র অনুব্রত মণ্ডল। কারন তিনিই জেলায় সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন”। সাবের আলির অভিযোগ, "বীরভূম জেলা পরিষদ সাঁইথিয়া ব্লকে কোন উন্নয়ন করেনি। আর সাঁইথিয়া ব্লকের একজন উপপ্রধানকে ডেকে দলে বিভাজনের সৃষ্টি করছেন। ভাওয়তাবাজি করে তাকে বলা হচ্ছে, এলাকার উন্নয়নে যত টাকা লাগবে দেব। শুধুমাত্র দলে বিভাজন করতে এসব করছেন সভাধিপতি”।
সরাসরি সভাধিপতিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাবের বলেন, “এই ব্লকে একমাত্র অবজারভার রানা সিং সভা ডাকতে পারেন। সভাধিপতি পারেন না। মাঠপলসা অঞ্চলে সভাধিপতি নোংরামি করেছে। বনগ্রাম অঞ্চল নিয়ে নোংরামি করছে। দলটা সভাধিপতির বাড়ির সম্পত্তি নয়। কাউকে নিয়ে আলোচনা করতে হলে জেলা পরিষদে নিয়ে গিয়ে আলোচনা করুন। দলকে বিভাজন করতে কাউকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে আলোচনা করবেন না। কোর কমিটির কাছে মুখোশ খুলে দেব”। এনিয়ে কাজল শেখকে ফোনে পাওয়া যায়নি। মেসেজের কোন উত্তর দেননি।
আরও পড়ুন - অনুব্রত কাণ্ডে তোলপাড়, কোর কমিটিকেই জরুরি তলব কলকাতায়