দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে সল্টলেকে এসেছিলেন প্রাথমিকের ইন্টারভিউ দিতে। কিন্তু ভুয়ো কল লেটার নিয়ে আসার অভিযোগে ধরা পড়লেন যুবক। আটক করা হয়েছে আরও দু'জনকে। এই দু'জন ওই যুবকের আত্মীয় বলে অভিযোগ। প্রতামিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। তার মদ্যেই শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এদিন সল্টলেকের প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে ছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রার্থীদের ইন্টারভিউ। সেখানেই প্রতারণাচক্রের সক্রিয়তার প্রমাণ মিলল।
আটক যুবকের নাম প্রীতম ঘোষ। বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রীতম যে কল লেটারে এনেছিল তাতে যুবকের স্বাক্ষর ছিল না। এছাড়া, ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকাতেও ওই যুবকের নাম ছিল না। এরপরেই পর্ষদের কর্তাদের সন্দেহ হয়।
প্রতীম ঘোষকে পর্ষদকর্মীরা অ্যাডমিট কার্ড দেখাতে বললে তিনি তার একটি প্রতিলিপি দেখান। কেন প্রতিলিপি? পর্ষদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে যুবক জানান, আসল অ্যাডমিট কার্ডটি দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা এক আত্মীয়ের কাছে আছে।
সব দেখে পর্ষদের তরফে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, তাদের কাছে প্রীতম জানিয়েছে, দফতরের বাইরে আরও এক আত্মীয় দাঁড়িয়ে আছেন। যিনি আসল অ্যাডমিট কার্ড তাঁর হাতে দিতে মোটা টাকা দাবি করছে। এরপরই বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ পীর্থম ঘোষ সব মোট তিনজনকে আটক করেছে।
ভুয়ো কল লেটার নিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতারণা চক্রের এই কাজ বলে মনেকরছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- বেহাল রাস্তার নালিশ, মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারীকে সপাটে চড় ‘দিদির দূত’ তৃণমূল নেতার