উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে সরকারি উদ্যোগে চাকরির নিয়োগপত্রও ভুয়ো। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য সেই সময় আরও এক দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। সরকারি উদ্যোগে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নবান্নের বিরুদ্ধে। ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এবার সেই নিয়োগ বিভ্রান্তির কথাা স্বীকার করে নিল রাজ্য সরকার।
ভুয়ো নিয়োগপত্র বিলি করার কথা স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে সরব হন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব বলেছেন, "একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হুগলিতে ঘটেছে। ১০৭ জনকে যে চাকরির অফার লেটার দেওয়া হয়েছিল, সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি হয়েছিল। এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঠিক করেছি এবার থেকে ডবল চেকিং করা হবে।"
প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উৎকর্ষ বাংলার অনুষ্ঠানের পর চাকরিপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু আবেদনকারীদের একাংশ দাবি করেন, নিয়োগপত্রে যে সংস্থার নাম লেখা ছিল, সেখানে যোগাযোগ করে তাঁরা জানতে পারেন, এই নিয়োগপত্র ভুয়ো। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়।
আরও পড়ুন জোড়া সুখবর, ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট, শূন্য পদে নিয়োগ ১১ হাজার
কিন্তু নিয়োগপত্র নিয়ে বিভ্রান্তির কথা স্বীকার করলেও ঘটনার দায় নবান্ন কার্যত বণিকসভার ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছে। সিআইআই বা বণিকসভাকে এই নিয়োগপত্র বিলি ও অন্যান্য বিষয়গুলি দেখার দায়িত্ব দিয়েছিল। বণিকসভা আবার গুরগাঁওয়ের একটা সংস্থাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে এবার কলকাতা পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছে বণিকসভা। মুখ্যসচিব এই বিষয়ে বলেছেন, "১৬ সেপ্টেম্বর সিআইআই এফআইআর দায়ের করেছে ওদের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তবে ওই ১০৭ জনের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে দেব না। ওদের একাধিক জব অফার আমরা করেছি।"