ভুয়োর তালিকায় এবার বিধায়কও। রাজ্য বাজেট পেশের দিনই বিধানসভ থেকে গ্রেফতার করা হল ভুয়ো বিধায়ককে। বিধানসভার লবি থেকে এদিন বাজেট পেশের আগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার ধরে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। নিজেকে বিধায়ক বলে দাবি করলেও ওই ব্যক্তি কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র পায়নি পুলিশ।

আরও পড়ুন- মমতার তুরুপের তাস লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! ষাটোর্ধ্বদের জন্য বাজেটে বিরাট ঘোষণা
আরও পড়ুন- দুয়ারে পঞ্চায়েত, মমতার বাজি ৩ হাজার কোটির ‘রাস্তাশ্রী’
বুধবার সকালে বাজেট় পেশের আগে তখন বিধানসভার সর্বত্র তুমুল হুড়োহুড়ি। অন্যান্য দিনের থেকে ভিড়ও বেশি। এক ফাঁকে বিধানসভার ২ নং গেট দিয়ে ঢুকে লবি পর্যন্ত চলে যান এক মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে পরীক্ষার করার সময় ধরা পড়েন। নাম জানতে চাওয়ায় তিনি দু’বার দু’রকম বলেন।
আরও পড়ুন- ব্যাঙ্কক-মালয়েশিয়া বেড়াবেন সরকারি কর্মীরা! DA-র সঙ্গে উপরি পাওনা?
আরও পড়ুন- রাজ্য বাজেটে বিপুল কর্মসংস্থানের দিশা, পাল্লা ভারি দক্ষিণবঙ্গের
একবার বলেন গজানন বর্মা। অন্যবার গজানন বন্দ্যোপাধ্যায় বলে নিজেকে দাবি করেন। শেষে তাঁর পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হলেও তিনি দেখাতে পারেননি। এরপর মার্শালকে খবর দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিকে হেয়ার স্ট্রিট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- ৩ শতাংশ DA-তে খুশি নন, আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াবেন সরকারি কর্মীরা
আরও পড়ুন- বিতর্ক বাড়াল না নবান্ন, রাজভবন থেকে অব্যাহতি নন্দিনীকে
ওই ব্যক্তি কে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতের কথায়, ‘বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি রয়েছে আমার। আমাকে আনন্দ বোস পাঠিয়েছেন। আপনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন।’

আরও পড়ুন- West Bengal Budget 2023: রাজ্য সরকারি কর্মীরা আরও ৩ শতাংশ DA পাবেন
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে বসবাসকারী চিরঞ্জিতলাল শর্মা। তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। দু’বার দু’ধরণের নাম বলেছেন নিজের। তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২০২০ ও ২০২১- পরপর দু’বছর ধৃত তাঁর একমাত্র ছেলে ও স্ত্রীকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি পুত্রবধূ ও নাবলক নাতনীর সঙ্গে বসবাস করেন।
বিধানসভার ভিতর-বাইরে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মোড়া থাকে। অধিবেশন চালাকালীন নজরদারি আরও বাড়ানো হয়। তা ভেদ করে এদিন ওই ব্যক্তি কীভাবে বিধানসভার গেট থেকে অধিবেশন কক্ষের কাছে পৌঁছে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।