বাংলায় সোশ্যাল মিডিয়ার দৌরাত্ম্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে বিভ্রান্তি অব্যাহত। এরাজ্যে বন্দে ভারত চালু হওয়ার পর থেকে একাধিক রুটে আরও এই ট্রেন চালু হওয়ার ফেক বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে। এর আগে একলপ্তে একাধিক বন্দে ভারত চালুর খবর রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। রেল যদিও জানিয়ে দিয়েছিল, সবই ফেক খবর। এবার আসানসোল থেকে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর হয়ে পুরী পৌঁছনোর আরেক বন্দে ভারত ট্রেনের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে ভাইরাল হয়েছে। আগেরগুলোর মতোই এই বিজ্ঞপ্তিও যে ফেক, তা জানিয়ে দিয়েছে রেল। তবে এই বিজ্ঞপ্তির দায়ও যে রেলের নয়, তা জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী।
গতবছর ৩০ ডিসেম্বর, বাংলায় হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাওড়ায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ট্রেন চালু হওয়ার পর একদিকে যেমন বিভিন্ন স্টেশনে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। পাশাপাশি, নিয়মিত ট্রেনে পাথর ছোড়া নিয়ে নয়া বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। চলতি বছর মে মাসে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়। দুটি ক্ষেত্রেই দিনে দিনে বন্দে ভারত গন্তব্যে গিয়ে আবার ফিরেও আসছে।
আসানসোল ভায়া বাঁকুড়া হয়ে পুরীর মত, এর আগে আসানসোল-বারাণসী, হাওড়া-আজিমগঞ্জ, হাওড়া-ভাগলপুর শিয়ালদহ-লালগোলা-সহ বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারত চালু হচ্ছে বলে রীতিমতো রেলের নকল বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আগের মত ফের কাল্পনিক বন্দে ভারত চালু হওয়ার বিভ্রান্তিমূলক খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবারও। রেলের যে এব্যাপারে কোনও দায়-দায়িত্ব নেই, তা কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাতারাতি অগ্রগতি ঘটে জীবনে, বদলে যায় ভাগ্য, কী এই উৎপন্না একাদশী যোগ?
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'আমি আমার রুমে বসে কোনও কথা বলছি, অফিসের বাইরে গিয়ে আমার নামে কেউ গালিগালাজ করল। সেটা কি আমার দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে? কেউ কিছু করলে করতেই পারে। আমরা অফিসিয়াল নোটিফিকেশন দিচ্ছি। কেউ যদি ফেক কাজ করে, সেই দায়বদ্ধতা আমার নয়। আমি সেখানে কী করব। আমার কিছু করার নেই এতে।'