Advertisment

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেকে কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী বাবা

দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Father commits suicide by killing mentally unbalanced son in Bharatnagar, Siliguri

জোড়া মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।ছবি: সন্দীপ সরকার

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেকে কুপিয়ে খুনে করে আত্মঘাতী বাবা। শুক্রবার সকালে এই জোড়া-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শিলিগুড়ির ভারতনগরে। এদিন সকালে পুলিশ দুটি মৃতদেহই উদ্ধার করে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

Advertisment

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ভারতনগরের বাসিন্দা সুভাষ রায়। যুবকের চিকিৎসা চলছিল বহু বছর ধরেই। সম্প্রতি কলকাতা থেকে ছেলেকে চিকিৎসা করিয়ে এনেছিলেন বাবা পার্থ রায়। কয়েকদিন সুস্থ থাকার পরেই ফের মানসিক সমস্যা বাড়তে থাকে সুভাষের। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ওই যুবককে নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় থাকত গোটা পরিবার।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সবার জন্য বাইরে থেকে বিরিয়ানি নিয়ে আসেন সুভাষ রায়ের বাবা পার্থ রায়। অভিযোগ, সেই বিরিয়ানিতেই ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রত্যেককে খাইয়ে দেন পার্থবাবু। ওই বিরিয়ানি খেয়ে সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।

আরও পড়ুন- বছরের শেষ দিনে দিঘায় উপচে পড়া ভিড় পর্যটকদের

সেই সুযোগে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন পার্থ রায়। ছেলেকে খুনের পরে নিজেও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রৌঢ়। বাড়িতে এত বড় কান্ড ঘটে গেলেও ঘুম ভাঙেনি পরিবারের সদস্যদের।

শুক্রবার সকালে পার্থ রায়ের স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে তিনি প্রথমে তাঁর বড় ছেলে সুভাষের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। স্বামীর খোঁজ করতে গিয়ে পাশের ঘরে পার্থ রায়কেও ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই ভিড় জমে যায় প্রতিবেশীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পুলিশ দুটি মৃতদেহই উদ্ধার করেছে। দুটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

police siliguri West Bengal
Advertisment