ফের এক নৃশসং ঘটনার সাক্ষী কলকাতা লাগোয়া জেলা হাওড়া। বাবার সামনেই মেয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা এলাকারই জনা কয়েক যুবকের। বাধা দিতে গেলে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার বাবাকে। দু'দিন হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে মৃত্যু ওই ব্যক্তির। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার জেরে তুলকালাম পরিস্থিতি হাওড়ার শ্যামনগরে। মঙ্গলবার সন্ধেয় ওই ব্যক্তির দেহ এলাকায় আনা হলে তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। মারধরে অভিযুক্ত প্রত্যেকের গ্রেফতারি চেয়ে রাস্তায় মৃতদেহ শুয়ে রেখে অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা।
অভিযোগ, কিছুদিন ধরেই টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে হাওড়ার শ্যামপুরের দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিল স্থানীয় কয়েকজন যুবক। প্রতিবাদ করলেও সুরাহা হয়নি। চলতি মাসের ২২ তারিখও টিউশন পড়ে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। বাড়ি ফেরার সময় ওই ছাত্রীর পথ আটকে কয়েকজন যুবক তার হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এদিকে, সেই সময় বড় রাস্তার ধারে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছিলেন বাবা।
আরও পড়ুন- সহায় হবেন ‘লক্ষ্মী’? মেঘালয়ের মন পেতেও ‘দান-খয়রাতির’ পথে তৃণমূল
মেয়ের চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বাবা। এরপরেই ওই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে কয়েকজন যুবক। লাঠি, বাঁশ দিয়ে চলে মারধর। মেয়েটির চিৎকার শুনেই তার বাবাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে গিয়ে উদ্ধার করেন ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে প্রথমে শ্যামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসা চালাকালীন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- বাড়ি বসেই রেশন কার্ড ও আধারের সংযুক্তিকরণ, কীভাবে? জেনে নিন
এদিকে, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলেও বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার সন্ধেয় ময়নাতদন্তের পর মেয়েটির বাবার নিথর দেহ এলাকায় পৌছতেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে স্থানীয বাসিন্দাদের। এলাকায় দুষ্কৃতীদের আখড়া তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অবিলম্বে ওই ব্যক্তিকে মারধরে অভিযুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতার করার দাবিতে সরব হন বাসিন্দারা। মৃতদেহ রাস্তার উপরে ফেলে রেখে চলে অবরোধ।