যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং কাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কেমিস্ট্রির সিনিয়র ছাত্র নাসিম আখতারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বারারি গ্রামে বাড়ি নাসিমের। নাসিমের বাবা নাসির শেখ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। ওই সময়ে হস্টেলে তাঁর ছেলে নাসিম কী করছিলেন তাও জানিয়েছেন নাসির।
নাসির শেখ বলেন, 'নাসিম আখতার নির্দোষ। সেদিন হস্টেলের বারান্দায় একটা জুনিয়র ছেলে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল। ও থরথর করে কাঁপছিল। তখন নাসিম ছাড়া আরও সিনিয়র ছাত্র সেখানে ছিল। নাসিম তাঁকে জিজ্ঞেস করে, ভাই কি হয়েছে? তখন সে বলে, দাদা আমার ভয় লাগছে। ঘরে বসিয়ে নাসিম তাকে বলেছে জল খা। অন্য একটি ছেলে ফোন করিয়ে তাকে মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছে। এটুকুই নাসিমের অপরাধ।'
নিজের ছেলেকে নির্দোষ বলে দাবি করছেন নাসির শেখ। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে নির্দোষ। আমার ছেলে এই কাজ করতে পারে না। সে পাঁচ বছর কলকাতায় আছে। ওর অপরাধ ওই ছাত্রের সঙ্গে মায়ের কথা বলিয়ে দেওয়া। কারও রক্ত লাগলে তা জোগাড় করত নাসিম। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে ছুটে যেত। এমনকী ওই ছেলেটাকেও এসএসকেএমে ভর্তি করার ব্যবস্থা করতেও নাসিম ছুটেছিল।' নাসিরের বক্তব্য, 'ওরা কি খুনের আসামী? ওরা কি ফেলে দিয়েছে? ও ঝাঁপ দিয়েছে।' তিনি আরও বলেছেন, 'নাসিমের এমএসসি কেমিস্ট্রি জুলাইয়ের ১৫ তারিখে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ও এখনও গেট কার্ড পায়নি, হস্টেল ক্লিয়ারেন্স পায়নি বলে হস্টেলে দু'দিন গিয়েছিল।'
আরও পড়ুন- ছাত্র সংগঠনের দখলদারির রাজনীতির বলি যাদবপুরের ছাত্র? সাংঘাতিক দাবি! জালে আরও ৩
যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে অবস্থান, মিছিল-মিটিং, সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। নাসির প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসকদের ভূমিকা নিয়েও।
আরও পড়ুন- একুশের মঞ্চে ঝাঁঝালো ভাষণে চর্চায়! মমতার নির্দেশে তৃণমূলে ‘গুরু দায়িত্বে’ রাজন্যা
নাসির শেখের প্রশ্ন, 'হস্টেল সুপার কী করছিলেন? ডিন অফ স্টুডেন্টস কী করছিলেন? রেজিস্ট্রার কী করছিলেন? রেজিস্ট্রার কি ২১ জুলাই মঞ্চে বসে থাকার জন্য ওই পদে আছেন?' তাঁর দাবি, 'অপরাধী যেন সাজা পায়। নির্দোষরা যেন সাজা না পায়। পুলিশ তাঁর হিংসা চরিতার্থ বা রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনের জন্য নির্দোষরা যেন সাজা না পায়। এদের বিরাট কেরিয়ার সামনে পড়ে আছে।'