Advertisment

বৃহস্পতিতে নবান্নে বাজি বৈঠক

উৎসব মরসুমে বাজি ফাটানোয় সায় নেই রাজ্য প্রশাসনের।এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষের মানুষের জীবন ও জীবিকা সংশয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ব্যবসায়ী সংগঠন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মহামারীর আবহে উৎসব মরসুমে বাজি ফাটানোয় সায় নেই রাজ্য প্রশাসনের। মঙ্গলবারই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠক হয়। তারপরই এবার দিপাবলীতে রাজ্যবাসীকে আতসবাজি না পোড়ানোর আর্জি জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা সংশয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

Advertisment

বুধবার বেলা গড়াতেই বাজি ব্যবসায়ী সংগঠন এর পক্ষ থেকে বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষের জীবিকা হানির কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারকে পরিস্থিতি ও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। এরপর বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনের নেতা বাবলা রায়কে ফোন করেন। এরপর তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বাবলা রায়কে নবান্নে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বাজি ব্য়বসায়ী সংগঠনের তরফে রাজ্যের কাছে বেশ কয়েকটি আর্জি জানানো হবে। যেমন, ১৪ ও ১৫ই নভেম্বর রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত রাজ্যে বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিক রাজ্য সরকার। লকডাউনে বাজি ব্যাবসায়ী ও শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবাসায়ীদের এককালীন ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা বিবেচনা করুক রাজ্য।

বাজি ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা বাবলা রায় বলেছেন, 'ব্যবসায়ীরা বাজি তৈরি করে ফেলেছেন। বাজি বন্ধের সরকারি নির্দেশে এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি। তাই রাজ সরকার সব দিক খতিয়ে দেখে দু'দিনে মাত্র চার ঘন্টার জন্য বাজি পোড়ানোর ছাড়পত্র দিক।' ব্যবসায়ী সন্দীপ বসুর কথায়, 'সরকারি নির্দেশিকা লাগু থাকলে আগামী এক বছরের বেশি সময়ও সেই ক্ষতি পূরণ করা যাবে না। তাই সরকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক'।

এদিকে, বুধবারই বাজি পোড়ানো বদ্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি দিয়েছে চিকিৎসক ও পরিবেশকর্মীদের ১৫টি সংগঠন। আবেদনকারীদের দাবি, শীত পড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাতাসে দূষণের ভাগ বেশি। বাজি পোড়ানো হলে সেই দূষণ আরও বাড়বে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এছাড়া, সমীক্ষার উল্লেখ করে বলা হয়েছে বায়ু দূষণের ফলে করোনা সংক্রমণ ৬-৭ শতাংশ বেশি ছড়াবে ও মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ বাড়বে। তাই এবার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আতসবাজি পোড়ানো বন্ধ রাখা হোক।

এদিনই আবার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির একটি বাজি কারখানা। ওই কারখানা সংলগ্ন ১০টিরও বেশি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।

এখন দেখার সবদিক বিবেচনা করে রাজ্য প্রশাসন লক্ষ্মীবারে দিপাবলীতে বাজি পোড়ানোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Firecracker West Bengal
Advertisment