Puri: পুরীতে মারাত্মক কাণ্ড! জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বাজি ফেটে ঝলসে গেলেন বহু পুণ্যার্থী। জখম অন্তত ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুরীতে জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রায় মর্মান্তিক এই বিপত্তির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার জেরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জখমদের চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস ওড়িশা সরকারের। এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
প্রশাসনকে দ্রুত আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সবরকম ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রতিনিয়ত আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খরচ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মেটানো হবে।
আরও পড়ুন- Rituparna Sengupta: টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ED-র তলব! হঠাৎ কেন এই ডাক জানেন?
মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুরীর মন্দিরের এক পাণ্ডা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "প্রভু জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রা চলছিল। সেই সময়ে ওখানে অনেকে বাজি ফাটাচ্ছিলেন। ব্যাগে ঠাসা আতসবাজি ছিল। আগুনের ফুলকি এসে পড়ে ব্যাগে। তারপরেই মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটে যায়। বিস্ফোরণের পরেই ২৫-৩০ জন জলের মধ্যে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। আহত অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রশাসনেরই তো দোষ রয়েছে। ওরা কেন চন্দন যাত্রায় আতসবাজি পোড়ানোর অনুমতি দিলেন?"
পুরীতে ঠাসা পর্যটকের ভিড়। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বাঙালি পর্যটক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে পুরীতে বেড়াতে গিয়েছেন তন্ময় হাজরা নামে এক যুবক। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, জগন্নাথ দেবের চন্দন যাত্রার সময়েই মর্মান্তিক এই দুর্ঘনাটি ঘটেছে। স্বভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ ধামে শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।