কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। দলের সাংসদ জুন মালিয়া এবং কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের প্রার্থী আলিফা আহমেদকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়ে ফিরহাদ হাকিমের গাড়ির সামনে আছড়ে পড়ে জনরোষ।
উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বেনজির অভিজ্ঞতা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। এই বিক্ষোভের মুখে পড়ে তুমুল অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায় ফিরহাদ হাকিমকে। হুটখোলা গাড়িতে কালীগঞ্জ উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ এবং তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়ার সঙ্গে প্রচার করছিলেন ফিরহাদ। বিজেপি এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে। 'উন্নয়নের নামে নাটক করছে তৃণমূল', সোচ্চার রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
নদিয়ার কালীগঞ্জে আগামী ১৯ জুন উপনির্বাচন। তার আগে দলের প্রার্থী আলিফা আহমেদকে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, একই গাড়িতে ছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ জুন মালিয়াও। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ফিরহাদ হাকিমের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। "রাস্তা নেই, কিছু নেই শুধু ভোটের সময় আসো?" ফিরহাদ হাকিমের গা়ডির সামনেই চলে বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন- TMC: 'শুভেন্দুর সঙ্গে যোগ, দলে সর্বনাশ ডাকছে', দাপুটে TMC বিধায়ককে তুলোধনা দলেরই তাবড় নেতার
কয়েকজন গ্রামবাসী রাস্তার উপর বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সরাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা সাফ জানান, রাস্তা সংস্কার না হলে এবার তাঁরা ভোটই দেবেন না।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates:ওয়াকফ আইন নিয়ে অশান্তির স্রোত, মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলে খুনে বড়সড় গ্রেফতারি
এদিকে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ায় তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স পোস্টে লিখেছেন, "কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে জনরোষে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মানুষ মুখের ওপর স্পষ্ট বলে দিল — "ভোট দেবো না! এই অঞ্চল থেকে একটাও ভোট তোমরা পাবে না, কারণ রাস্তা বানাওনি! রাস্তা নেই, কিছু নেই শুধু ভোটের সময় আসো?"গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ জনগণের অভিযোগ একটাই: ভাঙাচোরা, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাস্তা, যেখানে উন্নয়নের নামগন্ধও নেই। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তা নাকি তৈরিই হয়ে গেছে! এটাই সেই “পথশ্রী-রাস্তাশ্রী” নাটক, যার ঘোষণা চলেছে চার বছর ধরে — কাজ কোথায়?"