কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে আবারও তুলোধনা ফিরহাদ হাকিমের। ফের তাঁকে হেনস্থার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকেই নিশানা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের কথায়, ''সবার একটা আত্মসম্মান আছে, যা ইচ্ছে তাই করা যায় না। জেলে যেতে ভয় পাই না। সম্মানহানির ভয় আছে।''
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে আবারও অভিযোগ করলেন ফিরহাদ হাকিম। উল্লেখ্য, সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী-নেতার নামে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। আদালত সেই মামলায় ইডি-কেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অরূপ রায়রা। এদিকে, সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলায় তাঁর নাম জড়ানোয় শুরু থেকে বিজেপিকেই নিশানা করে চলেছেন ফিরহাদ হাকিম। এর আগেও সম্মানহানির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মেয়র। এব্যাপারে ফিরহাদের নিশানায় পদ্ম শিবির।
শুক্রবার ফের একবার গেরুয়া দলকেই তুলোধনা ফিরহাদের। বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ ফিরহাদের। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ''ভারতের সংবিধান আছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। সবার একটা আত্মসম্মান আছে। যা ইচ্ছে তাই করা যায় না।''
আরও পড়ুন- ‘আদালতের বিষয়টি বিচারপতিদের উপরেই ছাড়া উচিত’, শুভেন্দুর নিশানায় ফের মমতা
পদ্ম শিবিরকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ''বিজেপিতে গেলে সাধু, তৃণমূলে থাকলে অসাধু? গণতন্ত্রে যখন আঘাত আসে তখন এক নিমেষে সব শেষ হয়ে যায়। অন্যায়ের প্রতিবাদ করব, জেলে যেতে ভয় পাই না। সম্মানহানির ভয় পাই। আদালত বলেছিল বলে জেলে ছিলাম, হাসপাতালে যাইনি। যাঁরা অন্যায় করেছেন তাঁরা ভিতরে থাকবেন। যাঁরা ন্যায় করেছেন তাঁরা বাইরে থাকবেন।''
এর আগে রাজ্যের ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই ১৯ নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে, তার একটি তথ্যও আদালতে তুলে ধরা হয়েছিল। এমনকী নির্বাচন কমিশনে এই নেতা-মন্ত্রীরা যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, বিশদে সেটিও আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। আদালত পরে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এরই পাশাপাশি সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে আরও একটি মামলায় সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র ও কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীদেরও নাম ছিল।