'চোর চোর চোরটা, তৃণমূল দলটা'- এই স্লোগানেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর রাজ্যজুড়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বিরোধীদের সেই স্লোগান আরও তীব্র হয়েছে। তাতে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের পালটা প্রশ্ন, 'বিচারের আগে কীভাবে তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের চোর বলতে পারে বিরোধীরা?' এতেই ক্ষান্ত না-হয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মিছিল করে তাঁরা অভিযোগ করছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে পোষ্য সারমেয়র মতই ব্যবহার করছে মোদী সরকার।
Advertisment
এই টানাপোড়েনের মধ্যে তৃণমূলের বহু নেতা ও কর্মীই চান রীতিমতো গায়ের জোরে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিতে। একেই আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন নতুন কিসসা উঠে আসায় দল বিপদে। তার ওপর অনুব্রত-মার্কা গায়ের জোর ফলানো তৃণমূলের জন্য নতুন বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রেখে চলতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের তরফে ফিরহাদ হাকিম নেতা-কর্মীদের এই বিপদের সময় ধৈর্য বজায় রাখতে পরামর্শ দিলেন।
শনিবার কলকাতা পুরসভায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ফিরহাদ বলেন, 'দেখুন, গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের বিরোধী বন্ধুরা অসভ্যতা করছে। আমাদের একটা সামাজিক সম্মান আছে। সেই সম্মান হরণের অধিকার সংবিধান কাউকে দেয়নি। অনেকের এই ধরনের অসভ্যতামি দেখে ধৈর্য ভাঙছে। তাঁদের কাছে আবেদন করব শান্ত থাকতে। আইন আইনের পথে চলবে।'
শনিবার একথা বলার আগে ফিরহাদকে পার্থ এবং অনুব্রতর গ্রেফতারির পর বারবার সাংবাদিক বৈঠক করে বোঝানোর চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে যে, 'তৃণমূলের সবাই খারাপ নয়। সবাই চোর নয়।' সাফাই দেওয়ার এই কায়দা নিয়ে নেটিজেনদের কম কটাক্ষও শুনতে হয়নি তৃণমূল নেতৃত্বকে। এসবের মধ্যেই বেছে বেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের হয়রান করা নিয়ে রাজ্যজুড়ে দলের প্রতিবাদ চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। ইতিমধ্যে ফিরহাদ-সহ তিন তৃণমূল নেতা ইডির তদন্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন।