কোভিড-১৯ অতিমারীর জেরে বহু প্রকল্পের কাজই থমকে গিয়েছে। তবে লকডাউন উঠতেই সেই কাজ ফের দ্রুততার সঙ্গে শেষ করতে চাইছে কেন্দ্র। কলকাতাকে বন্যা ও জল-বায়ুবাহিত রোগের থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং আগাম পূর্বাভাস দিতে অত্যাধুনিক পরিকল্পনা আনার চেষ্টা চালাচ্ছে মৌসম ভবন। ২০২১ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চাইছে তারা।
চেন্নাই এবং মুম্বাইয়ে বানভাসি বন্যার পর কলকাতা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর। তাই কলকাতাতেও বন্যা সতর্কতা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এই কাজ বাস্তবায়ণ হলে দেশের মধ্যে কলকাতাই হবে তৃতীয় শহর যেখানে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বসানো হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রাজীবন।
চলতি বছরের জুনে মুম্বইয়ে পরিষেবাটি চালু হওয়ার পরে, অনেক শহরেই প্রাথমিক কাজ চলছে। ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমি আয়োজিত ‘ভারতে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পূর্বাভাসের সাম্প্রতিক অগ্রগতি’ একটি অনলাইন ভাষণের সময় একথা জানান রাজীবন। তিনি জানান, "কলকাতার জন্য বন্যা সতর্কতা ব্যবস্থা ২০২১ সালের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে।"
আরও পড়ুন, তিনগুণ হারে সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লিতে, মৃত্যু বাড়ছে বাংলায়, পুন:সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি দেশে
স্থানীয় পৌর কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একযোগেই জলাশয়, নিকাশী নেটওয়ার্ক এবং টপোগ্রাফির তথ্য সংগ্রহে সহযোগিতা করে মৌসম ভবন। কোনও স্থানে রেকর্ড হওয়া সেই সময়ের বৃষ্টিপাতের ভিত্তিতে বন্যার সতর্কতা ব্যবস্থা সতর্কতা তৈরি করা হয়। এই কাজ স্থানীয়ভাবে প্রশাসনের সঙ্গে এলাকাভিত্তিকভাবেই করা হয়। সচিব আরও বলেন, "আগামী বছরের মধ্যেই সুপার কম্পিউটিং ব্যবস্থা আরও চারগুণ বৃদ্ধি করা হবে।"
কৃষি, বিমান, পর্যটন, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রগুলি আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও পূর্বাভাসও এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পেশ করতে পারবে মন্ত্রক। জলবায়ু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারত ইন্টিগ্রেটেড আর্থ অবজার্ভিং সিস্টেম উন্নয়নে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও) এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এমনটাই জানা গিয়েছে।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন