বাবার অসুখের খবরটাই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয় প্রতিশ্রুতিবান দৌড়বিদ গোপাল সরকারের। সাই-এর ক্যাম্প ছেড়ে সোজা বাড়িতে। 'মাঠের ঘোড়া' আজ বাবার চপের দোকান সামলাচ্ছেন। ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকার অদম্য লড়াই জারি গোপালের।
কোন্নগরের শকুন্তলা কালীবাড়ির কাছেই রয়েছে একটি চপের দোকান। চপ ভাজছেন গোপাল সরকার নামে এক ব্যক্তি। আজ থেকে বছর কুড়ি আগে গোপাল ছিলেন প্রতিশ্রুতিবান এক দৌড়বিদ। পাড়ার মাঠ থেকে শুরু করে জেলাস্তর সেখান থেকে রাজ্যস্তরের নানা প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেয়েছেন গোপাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ১০০ মিটার হার্ডল রেসেও গোপাল সেরা। জাতীয়স্তরের ৩৭টি মিটে অংশ নিয়েছেন এই যুবক।
ঝুড়ি-ঝুড়ি মেডেল, মেমেন্টো, সার্টিফিকেট গোপাল সরকারের ঝুলিতে। একদিন ডাক পেয়ে যান সাইয়ের প্রশিক্ষণ শিবিরেও। জ্যোতির্ময়ী শিকদার, সোমা বিশ্বাস প্রমুখ খ্যাতনামা অ্যাথলিটদের সঙ্গে মাঠ কাঁপিয়েছেন গোপাল। দু'চোখে তখন স্বপ্ন বড় অ্যাথলিট হওয়ার। তবে আচমকা বাবার অসুখের খবর পেয়েই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়। সাইয়ের হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন তিনি। আর যাওয়া হল না।
আরও পড়ুন- দু’ঘণ্টায় মাত্র ৫.২৪% ভোট-বৃদ্ধি, ভবানীপুর নিয়ে কমিশনকে খোঁচা বিজেপি নেতার
গোপাল সরকারের বাবার ছিল একটি চপের দোকান। সংসার চালাতে সব স্বপ্নকে তাকে তুলে বাবার দোকানেই বসে পড়লেন গোপাল। সঙ্গ দিলেন তাঁরই ছোট ভাই গৌরাঙ্গ। এই গৌরাঙ্গও যোগব্যায়ামে ভীষণ পারদর্শী ছিলেন। পরিবারের খরচ চালাতে তিনিও পড়াশোনা শিকেয় তুলে পৈতৃক চপের দোকানে দাদার সঙ্গে কাজে লেগে পড়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন