Advertisment

লক্ষ-লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ, পুলিশের জালে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান

দুর্নীতির অভিযোগ মেনে নিয়ে টাকা ফেরত দেবেন বলেছিলেন অভিযুক্ত। ২ বছর কেটে গেলেও সেই টাকা সরকারি তহবিলে জমা পড়েনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Former head of Nurpur panchayat of Manikchak in Malda arrested for embezzling millions of rupees

পুলিশের জালে অভিযুক্ত। ছবি: মধুমিতা দে

পঞ্চায়েতের সদস্যদের তোলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শেষমেশ গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান। মালদহের মানিকচকের নূরপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান আরতি সরকার গ্রেফতার। একই অভিযোগে ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক মিলন ঘোষের বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।

Advertisment

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। মানিকচকের নূরপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন আরতি সরকার। আরতির বিরুদ্ধে ওই পঞ্চায়েতের ৯ সদস্য আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। তাঁদের অভিযোগ, কাজ না করে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন আরতি। ১০০ দিনের কাজ, আবর্জনা ফেলার জায়গা তৈরি, বৃক্ষরোপণ-সহ নানা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এ নিয়ে তাঁরা  মানিকচকের বিডিও-র দ্বারস্থ হন। পরে তাঁরা তথ্য জানার অধিকার আইনেরও সাহায্য নেন তাঁরা। অভিযোগ নিয়ে শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের ওই ৯ পঞ্চায়েত সদস্য। উচ্চ আদালত মালদহের তৎকালীন জেলাশাসক কৌশিক মুখোপাধ্যায়কে তদন্তের নির্দেশ দেন।

সেই তদন্তের ভিত্তিতে আর্থিক দুর্নীতির তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, ২৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ২২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আরতি সরকার। এই খরচের প্রয়োজনীয় নথিও আরতি এবং মিলন দেখাতে পারেননি বলে দাবি অভিযোগকারীদের। এরপর আরতি এবং মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মানিকচকের তৎকালীন বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। গা ঢাকা দেন আরতি।

আরও পড়ুন- সম্পত্তিগত বিবাদের জের, ধারালো অস্ত্রের কোপে একই পরিবারের তিনজনকে খুন

আদালতের কাছে নতুন করে আবেদন করেন আরতি। সেই সময় স্থির হয়, তছরুপের টাকা ফেরত দেবেন তিনি। তাতে রাজি হন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানও। কিন্তু অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও সেই টাকা সরকারি তহবিলে জমা পড়েনি। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে ফের আরতি এবং মিলনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। আরতিকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ।

অভিযোগকারীদের অন্যতম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য লিয়াকত খান বলেন, '২৬ লক্ষ টাকারও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। আমরা ওঁর উপযুক্ত শাস্তি চাই।' এবিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু জানান, কেউ অন্যায় করলে দোষী সাব্যস্ত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। দল কারও পাশে দাঁড়াবে না। যদিও এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল বলেন, 'তৃণমূল মানে কাটমানি, তৃণমূল মানে দুর্নীতি'।

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন

police Maldah
Advertisment