সম্পত্তিগত বিবাদের জের, ধারালো অস্ত্রের কোপে একই পরিবারের তিনজনকে খুন

ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

ঘটনার তদন্তে নেমে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Three members of a family have been killed in Hooghlys Chanditala

চণ্ডীতলার সেই বাড়িতে তদন্তে পুলিশ। ছবি: উত্তম দত্ত

একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে খুন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড হুগলির চণ্ডীতলায়। বাবা-মা ও মেয়েকে ধারালো অস্ত্রের কোপে খুনের অভিযোগ তাঁদেরই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। একজনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। আটক ব্যক্তিকে দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পলিশ। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।

Advertisment

সিঙ্গুরের নান্দাবাজার এলাকার পর এবার চণ্ডীতলা। একই পরিবারের তিন সদস্যকে খুন। আততায়ী নিহতদের আত্মীয় বলেই দাবি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাড়িতে স্ত্রী মিতালী ঘোষ ও মেয়ে শিল্পা ঘোষকে নিয়েই থাকতেন সঞ্জয় ঘোষ। তাঁদেরই আত্মীয় শ্রীকান্ত ঘোষ। অভিযোগ, শ্রীকান্ত সম্পর্কে নিহত সঞ্জয়ের জ্যেঠতুতো ভাই। সঞ্জয়ের সঙ্গে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল শ্রীকান্ত ঘোষের।

অভিযোগ, সোমবার সকালে আচমকা সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় শ্রীকান্ত। শাবল দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় দাদা সঞ্জয়ের। মাটিতে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্রের কোপ গলায়। একই কায়দায় খুনের অভিযোগ সঞ্জয়ের স্ত্রী মীতালি ও কন্যা শিল্পাকেও। ঘটনার পরেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শ্রীকান্ত ঘোষ।

আরও পড়ুন- পুরভোটের প্রস্তুতি ও বাহিনী মোতায়েন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফের তলব রাজ্যপালের

Advertisment

এদিকে, এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে পলাতক শ্রীকান্ত ঘোষের খোঁজে শুরু তল্লাশি। তপন ঘোষ নামে একজনকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তবে এই খুনের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা বা অন্য কারও এই ঘটনায় যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন

police Hooghly Chanditala