Former Mla Death:বাংলার রাজনীতির জগতে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত ৮ বারের বিধায়ক
Forme MLA death: প্রবীণ রাজনীতিবিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার তার বাড়িতে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। বহু বিশিষ্ট মানুষ প্রয়াত রাজনীতিবিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ।
Forme MLA death: প্রবীণ রাজনীতিবিদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার তার বাড়িতে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। বহু বিশিষ্ট মানুষ প্রয়াত রাজনীতিবিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন ।
Former MLA passes away: চলে গেলেন বর্ষিয়ান ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা ৮ বারের বিধায়ক তথা প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার কৃপাসিন্ধু সাহা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণেই তাঁর মৃত্যু বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। ভাগ্নি টুনু জানিয়েছেন এদিন দুপুর সাড়ে এগারোটার সময় স্নান করতে গিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়াতে তাঁকে তুলে নিজের ঘরে নিয়ে শুয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসক এসে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করেন।
Advertisment
এদিকে এই শ্রদ্ধেয় প্রবীণ নেতার প্রয়ানে চুঁচুড়া খড়ুয়াবাজার সংলগ্ন বাড়িতে বহু বিশিষ্ট মানুষ তাঁর আবাস 'কুঁড়েঘর 'এ ভিড় জমান। দেহ মুড়ে দেওয়া হয় ফরোয়ার্ড ব্লকের দলীয় পতাকা দিয়ে। কৃপাসিন্ধু সাহার রাজনৈতিক উত্থান দলের যুবলীগ এর সর্বভারতীয় সভাপতির মধ্যে দিয়ে। মানুষটি আজীবন সাধারণ ভাবে থেকেছেন। বিবাহ করেননি। ভাগ্নি টুনু কে মানুষ করেছেন ছোট্ট থেকে।
একে একে তাঁর বাড়িতে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাসগুপ্ত, সিপিআইএম নেতা মনোদীপ ঘোষ, জেলা পরিষদের মেন্টর সুবীর মুখোপাধ্যায়, ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য চেয়ারম্যান নরেন চ্যাটার্জি সহ বহু নেতৃবৃন্দ।
ফব নেতা নরেন চ্যাটার্জি বলেন, "কৃপাদার মতো এরকম সৎ,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানসিকতা র ব্যক্তি এযুগে বিরল। আমরা আজ এক মহান মানুষকে হারালাম। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।" তিনি জানান, কৃপাসিন্ধু সাহার রাজনৈতিক ইতিহাস বর্ণময়। তিনি হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ২ বারের কমিশনার। এরপর ১৯৬৭ সাল এবং ১৯৬৯ সাল এই দুবারের বিধায়ক। এরপর ১৯৭৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত টানা বিধায়ক। এর মধ্যে তিনি বিধানসভা র ডেপুটি স্পিকার ও ছিলেন। তাঁর নির্বাচন ক্ষেত্র ছিল ধনিয়াখালী বিধানসভা।
Kripasindhu Saha Passes away: প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক কৃপাসিন্ধু সাহা।
এছাড়াও তিনি রাজ্যস্তরে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। সাদা জামা আর সাদা প্যান্ট পরিহিত কৃপাসিন্ধু সাহা চিরকাল সাদাসিধা জীবনযাপন করতে ভালোবাসতেন। পৈতৃক ভিটের অনেকটা জমি বিক্রি করে সাধের ভাগ্নির বিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের পর্নকুটির সাজিয়ে ছিলেন নিজের মতো। সাধের বাড়ির নাম দিয়েছিলেন কুঁড়েঘর। এদিন সেই কুঁড়ে ঘরেই তিনি শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন। পার্টি কর্মীরা তাঁর দেহে লাল রঙের কাপড়ে হলুদ বাঘ মার্কা দলীয় পতাকায় মুড়ে দেন।
কুঁড়েঘরে শায়িত বাঘ। ক্যাপশন টা এরকম হতেই পারতো। আসলে চুঁচুড়া খরুয়াবাজার এর 'কুঁড়েঘর' এর মালিক চলে গেলেন পরলোকে।