বর্ধমানের রমনাবাগান চিড়িয়াখানার চারটি পাখির ভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন চার পাখি-প্রেমী। দুটি ময়ূর, একটি এমু ও একটি প্যারাকিট টিঁয়ার রক্ষণাবেক্ষণের ভার নিলেন পাখিপ্রেমীরা। বর্ধমান রমনাবাগান চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চার পাখি-প্রেমীর হাতে দত্তক নেওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শংসাপত্র তুলে দিয়েছে।
রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখি দত্তক নেওয়া তিনজনই বর্ধমানের বাসিন্দা। এছাড়াও কলকাতা থেকে একটি শিশুও পাখি দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। কিছুদিন আগে চারজনই পাখিগুলির দায়িত্ব অর্থাৎ দত্তক নেওয়ার জন্য বর্ধমান বনদফতরে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের সেই আবেদনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পাখির দত্তক নেওয়ার শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী ওই চারজনের হাতে তুলে দিয়েছেন।
পাখি দত্তক নেওয়া চারজনের একজন অর্ণব দাস। তিনি বলেন, ''ছোট থেকেই পশু-পাখিদের নিয়ে কাজ করছি। পশু-পাখিদের নিয়ে আমার থাকতে ভালো লাগে। পাখিদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এক বছরের জন্য একটি ময়ূর আমি দত্তক নিয়েছি। এক বছরের জন্য ময়ূরটির খাবার, রক্ষণাবেক্ষণ সবেরই দায়িত্ব আমার।''
অন্যদিকে কলকাতার বাসিন্দা ওই শিশু শৌর্য দেবের বাবা সর্ণব দেব বলেন, ''আমার শিশু পুত্রের পছন্দ মতো এমু পাখিটি দত্তক নিয়েছি। আমার ছেলে শৌর্যের পশুপাখি ভালো লাগে। ওর ইচ্ছে অনুযায়ী একটি ময়ূরের দায়িত্বও নিয়েছি। এর আগে আমরা এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। এখানে পাখি দেখে খুব ভালো লেগেছিল। তার পরেই পাখি দত্তক নেওয়ার কথা মাথায় আসে।''
আরও পড়ুন- ‘বাপি বাড়ি যা…’, স্লোগানে মন খারাপ হয়েছিল বাপ্পি লাহিড়ির, তবে দমেননি ভোটের লড়াইয়ে
পেশায় অধ্যাপিক শৌর্য্যের মা সঞ্চারীদেবী বলেন, ''ছেলের পশু-পাখিদের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। ছেলে বইয়ের পাতা উলটে পাখির ছবি দেখতেও খুব ভালোবাসে। ছেলের জন্য পাখি দত্তক নিতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি।''
এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, ''বর্ধমানের রমনাবাগান জুয়োলজিক্যাল পার্কে এদিন থেকেই প্রথম পশুপাখি দত্তক দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। চারজন চারটি পাখি দত্তক নিয়েছেন। এঁদের দেখে অন্যদেরও উৎসাহ বাড়বে। আগামী দিনে আরও মানুষ পশু-পাখি দত্তক নিতে আসবেন।''