Advertisment

Sharad Purnima 2018: ফল কিনতে পকেটে টান নাকি বাজারে বসতে লক্ষ্মী, দেখুন কী বলছে বাজারদর

Sharad Purnima, Laxmi Puja or Kojagiri Purnima 2018: আগামিকাল কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ধনদেবীর আরাধনা করতে গিয়ে এবছরও কি পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের, নাকি বাজারে বসতে লক্ষ্মী? চলুন দেখে নেওয়া যাক ফল বাজারের হাল হকিকত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
fruit market

Sharad Purnima 2018: অগ্নিমূল্য নয়, তবে দাম বেড়েছে ফলের।

Kojagiri Laxmi Puja 2018 in West Bengal: মঙ্গলবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি। ধনদেবীর আরাধনা করতে গিয়ে এবছরও কি পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের, নাকি বাজারে বসতে লক্ষ্মী? কী বলছেন ক্রেতা বিক্রেতারা? চলুন দেখে নেওয়া যাক ফল বাজারের হাল হকিকত। ফল সবজি থেকে ফুলের বাজার পুজোর আগে সর্বত্রই দামের হেরফের হয়ে থাকে। তবে সবজির বাজার অগ্নিমূল্য হলেও, ফলের বাজার নিয়ে কার্যত সন্তুষ্ট ক্রেতারা। তবে ফুল বা সবজি কিনতে পকেটে বেশ টানই পড়ছে মধ্যবিত্তের।

Advertisment

জিনিসপত্রের দাম যে লাফিয়েই বাড়ছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় মধ্যবিত্তের ওপর লক্ষ্মীদেবী খুব একটা অসন্তুষ্ট নন বলেই মনে করছেন ক্রেতাদের একাংশ। বছরের সাধারণ দিনের তুলনায় লক্ষ্মীপুজোর মরসুমে বাজারের আগুন দাম না হলেও স্বভাবতই কিছুটা বেড়েছে ফলের দাম। যদিও ক্রেতাদের বক্তব্য আগের বছর বা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় ফলের দামের হেরফের হয়েছে মাত্র ২ থেকে ৫ শতাংশ। যাকে কার্যত সামান্য বলেই মনে করছেন ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষই। প্রসঙ্গত, আঙুরের মতো অফ সিজন ফলের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি রয়েছে।

আরও পড়ুন: কলকাতা ফুল বাজার: রঙের ক্যালাইডোস্কোপ

হাতিবাগান ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মলয় বিশ্বাসের কথায়, ''পুজোর আগে দামেরএকটু হেরফের তো হয়েই থাকে, আগে যেমন লোকে প্রচুর পরিমানে কেনাকাটা করত, এখন দু-একটা পিস করে প্রয়োজন মতো ফল কেনেন তাঁরা। কাজেই বিক্রি-বাট্টা খুব বেশি বাড়েনি, বলতে গেলে একই রয়েছে বাজারের অবস্থা।'' লক্ষ্মীপুজোর পর কিছুটা স্বাভাবিক হবে বাজার মূল্য। ফের দাম বাড়বে কালীপুজো, ভাইফোঁটার সময়, এমনটাই জানাচ্ছেন ফল ব্যবসায়ীরা।

শোভাবাজার বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের কথায়, যেহেতু পুজোর সময় ফলের দাম কিছুটা বাড়েই। এই সময় চাহিদা বেশি থাকার কারণে ফলের আমদানিও রাখতে হয় পর্যাপ্ত।’’একদিকে হাতিবাগান এলাকার বাসিন্দা গৌরি সাহা বলছেন অগ্নিমূল্য ফলের বাজার, ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই, অন্যদিকে শোভাবাজারে বাজার করতে আসা মঞ্জু মন্ডলের গলায় কিন্তু অন্য সুর, তাঁর কথায়, ''আমার তো মনে হচ্ছে অন্যান্য বারের তুলনায় কমই রয়েছে ফলের দাম''। সুতরাং হাতিবাগান থেকে শোভাবাজার সর্বত্র মিলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে সবমিলিয়ে চলছে বিকিকিনি। যতই হোক ধনদেবীর পুজোয় আপোস করতে রাজী নন কেউই।

এক ঝলকে দেখে নিন ফলের দাম 

শশা- ৩০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৫০-৬০টাকা কেজি
আপেল- ১০০ টাকা কেজি,
নারকেল- ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস
পেয়ারা- ৬০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা কেজি।
কলা- ৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা ডজন।
বেদানা- ১৩০ টাকা কেজি
শাঁকালু- ১০০টা কেজি
ডাব- ২৫ টাকা পিস
আতা- ১০০টাকা কেজি
খেজুর, আমসত্ত্ব - ১২০ টাকা কেজি
কমলালেবু- ১০ টাকা পিস
বাতাবি লেবু- ২০ টাকা পিস
আঙুর- ২০০ টাকা কেজি

তবে ফলের বাজারের তুলনায় সবজি বাজারেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের ট্রাস্টফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, ''ফলের পাশাপাশি, সবজি ৩০ টাকা কেজি, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, ভেন্টি ৫০ টাকা কেজি, কুমরো ৩০ টাকা কেজি, পেঁপে ২০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা পিস, বাধাকপি ৪০ টাকা। এই বাজার দর আপাতত কালিপুজো পর্যন্ত চলবে বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে শীতের সবজি বাজারে ঢুকলেই স্বাভাবিক হবে বাজারমূল্য এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে পুজোর মরসুমে ফুলের বাজারদরও তুঙ্গে।

Price Hike
Advertisment