Congress-West Bengal: বিধানসভায় এখনও শূন্য। উপনির্বাচনে টিমটিম করে একটি আলো জ্বলতে গিয়েও তা নিভে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট করেও সেই গণি খান মিথেই সম্মান রক্ষা করেছে মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র। বিশেষত গণি উত্থানের বিধানসভা সুজাপুর এলাকার ভোটেই বাজিমাত করেছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান কি এরাজ্যে দলীয় সংগঠনকে আরও নিঃস্ব করে দেবে? তাহলে বঙ্গে কি বাম-কংগ্রেসের জোটও গুরুত্ব হারাতে চলেছে? ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তা আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সভায় দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস এবার ৪০টি আসনও পাবে না। শেষমেশ কংগ্রেস ৯৯টি আসন পেয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের সম্মান পেয়েছে। দিল্লির তখতে তৃতীয় বারের জন্য বসেছেন নরেন্দ্র মোদী। সমর্থন রয়েছে তেলেগু দেশম ও আরজেডির।
মোদী সরকার গঠনের পর থেকেই কংগ্রেস ও তৃণমূল পাশাপাশি আসার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের একটি সূত্র দাবি করেছে, ওয়ানাডে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রচারে যেতে রাজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি কংগ্রেস চায়। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের অন্য নেতৃত্বকে সেখানে যাওয়ারও আবেদন রাখতে পারেন মমতা। তারপর চিদাম্বরম এসেছেন নবান্নে। সব মিলিয়ে দিল্লির দোস্তির আবহাওয়া বাংলাতেও কি তৈরির চেষ্টা চলছে? এই জল্পনা চলছে।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: লক্ষ্য ২০২৬! গ্রাম তো মুঠোয়, শহরের মন পেতে ‘মাস্টারপ্ল্যান’ রেডি মমতার
রাজ্য কংগ্রেসের একাংশের বক্তব্য, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোট হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস তা ভেঙেছিল। তারপর থেকে সারা রাজ্যে কংগ্রেসকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে তৃণমূল। শেষ সলতের মতো ঝালদা পুরসভা নিয়ে ৩ বছরে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভূমিকা নিয়েছে তাতে স্পষ্ট কোনও ভাবেই হাত শিবিরকে এরাজ্যে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। বহরমপুরে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে হারাতে তৃণমূল কোনও কসুর করেনি। রাজ্যে মালদা ও মুর্শিদাবাদ ছাড়া কোথাও সেভাবে সাগংঠনিক শক্তি নেই কংগ্রেসের। তবে এই দুই জেলায়ও সংগঠন ধরে রাখতে কতটা সক্ষম হবে দল তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে খোদ কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন- TMC Mla Oath Ceremony: তৃণমূলের সায়ন্তিকা, রায়াতদের শপথ নিতে হবে রাজভবনেই, কড়া চিঠি রাজ্যপালের
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে বাম ও কংগ্রেস জোট করে লড়াই করেছে। এবারও তারা এক জোটেই ছিল লোকসভার ভোট ময়দানে। সেই জোটের মূল হোতাই ছিলেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। হাইকমান্ডের সঙ্গে অধীরের নরম-গরম সম্পর্ক দেখেছে রাজ্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বাম-কংগ্রেস জোট কি আদৌ ভবিষ্যতে বজায় থাকবে? পাশাপাশি রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দশা কোন তলানিতে ঠেকবে? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।