Money doubling scam: '১৩ মাসে টাকা ডাবল', প্রতারণার 'নিনজা' টেকনিকে লক্ষ-লক্ষ টাকা লুঠ

Money doubling scam: ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ। সরল বিশ্বাসে কিছুটা লোভ-বশতই এলাকার অনেকেই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলেন।

Money doubling scam: ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ। সরল বিশ্বাসে কিছুটা লোভ-বশতই এলাকার অনেকেই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলেন।

author-image
Utsab Mondal
New Update
Gaighata fraud  ,Dollar double money scam  ,Advance fee fraud,  Money doubling scam,  Currency exchange scam,গাইঘাটা প্রতারণা,  ডলার দিয়ে টাকা দ্বিগুণ,  অ্যাডভান্স ফি স্ক্যাম,  নগদ লোভে প্রতারণা  ,ডলার বিনিময়ে প্রতারণা

Money doubling scam: প্রতারিতরা টাকা ফেরতের দাবিতে এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

Dollar double money scam:'১৩ মাসে টাকা দু'গুণ-তিন গুণও হতে পারে', অবাস্তব এই প্রতিশ্রুতিতেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এলাকারই এক জনপ্রিয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তবে শেষমেশ প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে প্রতারকের বাড়িতে চড়াও প্রতারিতরা। টাকা ফেরতের দাবিতে চলে বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। 

Advertisment

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা এলাকার ইমারতী দ্রব্যের ব্যবসায়ী সঞ্জয় বিশ্বাস। তিন বছর আগে এলাকা থেকে ডলারের মাধ্যমে কেউকে ১৩ মাসে টাকা দ্বিগুণ কাউকে বা তিন গুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা এভাবে তুলেছেন। প্রতারিতরা শেষমেশ টাকা ফেরতের দাবিতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়েছেন। তাঁদের অনেকের দাবি, প্রথমে কাউকে কাউকে কিছু কিছু করে টাকা দিয়েছিলেন সঞ্জয়। 

এভাবে কয়েকমাস কাটতে না কাটতেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন সঞ্জয় বিশ্বাস। তিন বছর ধরে প্রত্যেককে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গিয়েছেন সঞ্জয়। শেষমেশ সঞ্জয় বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবি করতে থাকেন প্রতারিতরা। 
যদিও এই বিষয়ে সঞ্জয় বিশ্বাসের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি সঞ্জয়ের স্ত্রীও।

আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update: HS-এর ফলপ্রকাশ প্রায় ১ মাস আগে, কলেজে ভর্তি শুরু কবে? ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

Advertisment

এদিন বিষ্ণু বিশ্বাস নামে এক প্রতারিত ব্যক্তি বলেন, "প্রথমে ৯০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। ও (সঞ্জয়) বলেছিল ১৩ মাসে তিন ডবল করে দেবে। ও বলেছিল ডলারের বিনিময়ে টাকা বাড়বে। আমরা না বুঝে এই কাজ করে ফেলেছি। আমি ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমি ৪ বারে ৯০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। গত আড়াই-৩ বছরে সামান্য টাকা দিয়েছে।"

আর এক প্রতারিত অশোক কুমার টিকাদার বলেন, "ডলারের মাধ্যমে টাকা ডাবল হবে বলেছিল। ২ বছর আগে টাকা দিয়েছলাম। ৯০ হাজার টাকা দিলে ১৩ নাসে ডাবল করে দেবে বলেছিল। এখন টাকা দেওয়া বন্ধ। আমাদের গ্রাম থেকে ও (সঞ্জয়) মোট ২৭ লক্ষ টাকা তুলেছিল।"  

আরও পড়ুন- Sacked Teachers: 'হয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন, নয় স্বেচ্ছামৃত্যুতে সায় দিন', কাকে চিঠি চাকরিহারাদের?

রাধিকা বিশ্বাস নামে এক প্রতারিত মহিলা এদিন বলেন, "৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম সঞ্জয়কে। তিন বছর আগে টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে কোনও টাকাই দেয়নি। ব্যবসায় টাকা খাটিয়ে আমাদের দেবে বলেছিল। মাসে মাসে টাকা দেবে বলেছিল। প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুঠেছে সঞ্জয় বিশ্বাস।"

police Money Laundering Scam