রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি প্রবল উদ্বেগনজনক জায়গায় পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা হলে ব্যাপক ভাবে রাজ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের একটি বড় অংশের। একাংশের রাজনীতিবিদরাও এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবারই গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলল হাইকোর্ট। গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করা যায় কিনা রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার এব্যাপারে রাজ্যের মতামত জানাবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
রাজ্যে করোনার বিদ্যুৎ গতি। গতকালই সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৯ হাজারের গণ্ডি। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে বহুগুণে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। মেলা হলে এরাজ্যের পাশাপাশি ভিনরাজ্য থেকেও বহু পুন্যার্থী আসবেন। মেলা প্রাঙ্গণে কোভিড বিধি মেনে চলাই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা প্রবল। মেলা বন্ধের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
সেই আবেদনের শুনানিতে এবার রাজ্যের মতামত জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সাধারণ মানুষের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশাবাদী হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে মামলাকারী অভিনন্দন মণ্ডল জানান, দক্ষিণ দমদমে একটি সেফ হোমে চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- করোনা গ্রাসে বাংলা, হাইকোর্টে পুরভোট পিছনোর আবেদন
রোগীদের চিকিৎসা করছিলেন তিনি। করোনা নিয়ে তাঁর পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছেন তিনি। গঙ্গাসাগরে ১৫ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে। তা হলে পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক হওয়ার আশঙ্কা থাকছে সেব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী।
এরপরই প্রধান বিচারপতি গঙ্গাসাগর মেলায় এবছর কত পুন্যার্থী আসতে পারেন তা জানতে চান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে। গত বছর মেলা প্রাঙ্গণে ৭ লক্ষ পুন্যার্থীর জমায়েত ছিল বলে জানান এজি। তবে এবার মেলা চলাতে গেলে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করতে পারে তা তিনি পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। আগামিকাল রাজ্যকে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে তাঁদের অবস্থান জানাতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।