Advertisment

কুখ্যাত দুস্কৃতী খুনের মামলায় সন্দেহের তীর স্ত্রী ও ছেলের দিকে

রামুয়ার স্ত্রী কাজল পুলিশকে জানিয়েছেন, পরিবার আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, কাজল আরো বলেন, পরকীয়ার সন্দেহে রামুয়া তাঁকে মারধরও করত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি।

হাওড়ার কুখ্যাত ডন রামমূর্তি দেওয়ার ওরফে রামুয়া খুনের মামলায় এদিন পুলিশ গ্রেফতার করেছে রামুয়ার স্ত্রী কাজল (৩৩) ও ছেলে সমীর (১৯) সহ আরও চারজনকে। শনিবার পাঁচজনকে আটক করা হলেও কার্তিক যাদব নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ রবিবার গ্রেফতার করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাকি ধৃতরা হলেন শ্যামসুন্দর রাও, বিশাল মেনন ও প্রশান্ত কুমার সিং। এঁদের মধ্যে বিশাল মেননকে জামশেদপুর থেকে ও প্রশান্ত কুমারকে দুর্গাপুর থেকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisment

গত রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার সোদপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বছর ৪৭-এর রামুয়ার মৃতদেহ। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, "স্ত্রী ও ছেলে সহ আরও চারজনকে আমরা অ্যারেস্ট করেছি। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, পারিবারিক সমস্যার কারণেই খুন হয়েছে রামুয়া। খুনের সময় ব্যবহৃত পিস্তলও আমরা বাজেয়াপ্ত করেছি।" ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার পর অভিযুক্তদের বারাসাত আদালতে তোলা হবে বলে খবর।

আরও পড়ুন, সোদপুরে খুন হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়া

রামুয়ার স্ত্রী কাজল পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাঁদের পরিবার আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, কাজল আরো বলেন, পরকীয়ার সন্দেহে রামুয়া তাঁকে মারধরও করত। পুলিশ বলে, চাকরি পাওয়ার আশায় কাজল, ছেলে সমীর ও কার্তিক বিশাল ও প্রশান্তের কাছে যায়। পারিবারিক বন্ধু শ্যামসুন্দরের মাধ্যমেই এই দুজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কাজল ও তাঁর ছেলের। প্রসঙ্গত, খুনের দায়ে অভিযুক্ত রামুয়া ১৬ নভেম্বর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল।

Read the full story in English

kolkata police
Advertisment