অস্বস্তি কাটল না, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও এখনও বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারি। সোমবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে অস্বস্তি কার্যত বহাল রইল গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকারের। আগামী শুক্রবার তাঁদের আবেদন নিয়ে পরবর্তী শুনানি সর্বোচ্চ আদালতে। ওই দিন এব্যাপারে সিবিআইয়ের বক্তব্যও শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারের আবেদন নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে কী আবেদন করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারি?
আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তে অসহযোগিতা করলে এই দু'জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআিই, এর আগে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হাইকোর্টের এই রায়ে গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকার। সেই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- ‘দু’নম্বরি করার মাস্টার’, বালুর দাদার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর
আবেদনে সাড়া না দিয়ে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
এখনই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল ও সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হচ্ছে না। তদন্তে সহযোগিতা করলে কেন তাঁরা গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন, এদিন সেটাও জানতে চেয়েছে আদালত। শেষমেশ রক্ষাকবচ না দিলেও আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আগামী শুক্রবার আবেদনের পরবর্তী শুনানি। ওই দিন সিবিআইয়ের বক্তব্যও শুনবে সর্বোচ্চ আদালত। তারপরেই এই দু'জনের রক্ষাকবচ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।