Vande Bharat Express: এবার থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বিশেষ করে বাঙালিদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। এবার দেশের সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনে চড়ার অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা পাবেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবারের মাধ্যমে।
কথায় আছে “মাছে ভাতে বাঙালি” অর্থাৎ বাঙালি যেখানেই যাক দুপুরের খাবারে মাছ-ভাত যেন চাইই চাই। বাঙালিরা যেখানেই যায় "মাছ ভাতের হোটেল" একটা অবশ্যই জোগাড় করে নেয়। শুধুমাত্র যাত্রার সময়ে বাঙালিকে ম্যানেজ করতে হয় দুপুরের খাবারটা “মাছ ভাত” ছাড়া। তবে সেই চিন্তারও এখনও অবসান হয়েছে। দুপুরের আহারে মাছ-ভাত একটি অপূর্ব পরিচিতি যা বাঙালি সমাজের জীবনধারা এবং সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত অংশ।
এখন ২২৩০১ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) এমন দুরন্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে এই গোটা বিষয়টি। এখন হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বাংলার সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পদগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Eastern Railway: সব গণ্ডি তুলে দিল পূর্ব রেল! যাত্রী স্বার্থে যুগান্তকারী তৎপরতার ভূয়সী প্রশংসা
প্রাতরাশে ত্রিকোণ পরোটা, ছোলার ডাল, মাল্টিগ্রেন আটার রুটি। লাঞ্চ অথবা ডিনারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই, ধোকা অথবা ছানার ডালনা, সোনামুগের ডাল, বাঙালির অতিপ্রিয় মাছের ঝোল, সরষে মাছ, মিষ্টি দই, সন্দেশ এবং ক্ষীরকদম। প্রাতরাশ থেকে লাঞ্চ এবং ডিনার এর জন্য বাছাইকৃত বাঙালি খাবারের প্রতিটি অংশে উল্লেখযোগ্য সুস্বাদ এবং পারিপাটিত্ব সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তার উচ্চ-গতির ক্ষমতা এবং বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার জন্য বিখ্যাত। যাত্রীদের জন্য একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতার সাথে রেল ভ্রমণকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঋতুগত ভিন্নতা সত্ত্বেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাফল্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) উদ্যোগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।