'মাটি বাঁচাও', এই বার্তা সঙ্গী করে কলকাতা থেকে সাইকেলে বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের গৌতম কর্মকার। টানা কয়েকটি দিন পড়শি দেশের নানা জায়গায় সাইকেলে ঘুরে রাসায়নিক ক্ষতিকারক সার থেকে মাটিকে বাঁচানোর বার্তা ছড়িয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, কুষ্ঠিয়া থেকে শুরু করে যাওয়ার পথে ভারতেরও বিভিন্ন গ্রাম বেয়ে মাটি বাঁচানোর বার্তাই ছড়িয়েছেন এই ব্যক্তি।
বিভিন্ন রাসায়নিক সারের প্রয়োগে মাটির দফারফা! কম সময়ে বেশি ফলনের আশায় বহু চাষিই এখন সার নির্ভর হয়ে পড়েছেন। বাজার ঘুরলেই নিত্য নতুন রাসায়নিকের মিশেলে তৈরি সারের ছড়াছড়ি। একের পর এক সার কোম্পানিতে বাজার ভরে গিয়েছে। তবে ভালো ফলনের আশায় জমিতে সারের প্রয়োগে একদিকে যেমন মাটির উর্বর-শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনই সারের শাক-সবজি পেটে পুরে মানবশরীরেও ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ‘অর্পিতার হাব ভাবে হতাশ পার্থ?’ নিজের মৃত্যু প্রসঙ্গ টেনে বিচারককে কী বললেন?
চাষিদের রাসায়নিক ক্ষতিকারক সার প্রয়োগ থেকে দূরে রাখতেই তাই 'মাটি বাঁচাও সংকল্প নিয়েছেন কলকাতার বেলেঘাটা এলাকার বাসিন্দা গৌতম কর্মকার। মাটি বাঁচানোর বার্তা ছড়িয়ে দিতে এক অভিনব প্রয়াস নিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। কলকাতা থেকে গত ১৬ মে বাংলাদেশের উদ্দেশে সাইকেলে চেপেই রওনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন- মন্ত্রমুগ্ধ পরিবেশে ভুলে যাবেন সব স্ট্রেস! পাহাড়-নদীর অপরূপ মেলবন্ধনে মোহিত হবেনই!
প্রতিদিন গড়ে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাইকেল চালিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা, কুষ্ঠিয়া-সহ নানা এলাকায় সাইকেলে ঘুরেছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমিতে গিয়ে কথা বলেছেন চাষিদের সঙ্গে। কৃত্রিম রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটির ক্ষতি সর্বোপরি মানবজাতির ক্ষতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করেছেন তিনি।
এভাবে ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে ১৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ সাইকেলে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। এমনকী বাংলাদেশ সরকারের তরফেও তাঁকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।