বিক্ষোভ থেমে গেলেও এখনও কার্যত অচল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস। মান্থার এজলাসে সরকারি আইনজীবীদের একটি বড় অংশ অনুপস্থিত থাকছেন। স্বাভাবিকভাবেই পরপর মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। কলকতা হাইকোর্ট সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মান্থার এজালাসে ৩৪টি মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত থেকেছেন সরকারি আইনজীবীরা। আইনজীবীদের একাংশ এখনও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সঙ্গে অসহযোগিতা জারি রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে অচলাবস্থা জারি। তবে তাঁর এজলাসে এখন আর বিক্ষোভ হচ্ছে না। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের আশ্বাসের পর থেকে মাস্থার এজলাসে বিক্ষোভ না হলেও অচলাবস্থা কাটছে না। সরকারি আইনজীবীদের একটি বড় অংশ মান্থার এজলাস 'বয়কট' করছেন। সেই কারণেই একের পর এক মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। শুধু সরকারি আইনজীবীরাই নন, অন্য আইনজীবীদের একাংশও বিচারপতি মান্থার সঙ্গে অসহযোগিতা জারি রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- রেশন কার্ড হারিয়ে গিয়েছে? সহজেই নতুন কার্ড তৈরির উপায় জেনে নিন
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়। মান্থার এজলাস আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আইনজীবীদের একাংশ। তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের নেতৃত্বেই সেই বিক্ষোভ চলে বলে অভিযোগ ওঠে।
নজিরবিহীন সেই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের শাসকদলকেই দায়ী করে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার তাঁর এজলাসে বিক্ষোভের জন্য আদালত অবমাননার রুল জারি করে দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আপাতত বিষয়টি দেখছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
আরও পড়ুন- হাইকোর্টের বিক্ষোভে রেগে অগ্নিশর্মা বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, বেনজির পদক্ষেপ
এরই মধ্যে আইনজীবীদের একাংশের নালিশ শুনে মান্থার এজলাসে বিক্ষোভের ঘটনায় সক্রিয় হয়েছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। সম্ভবত শনিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় আসছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। মান্থার এজলাসে সোমবার ঠিক কী ঘটেছিল, গোটা ঘটনা নিয়ে তিন সদস্যের সেই কমিটি কথা বলবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে। এমনকী বিক্ষোভ চলাকালীন হাইকোর্টের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও অন্য ছবিও তাঁরা সংগ্রহ করবেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ওই বিশেষ দলটি জমা দেবে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে।