Bratya Basu Called Governor's Behavior A Shame: বাংলার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত সপ্তমে। এসবের মধ্যেই নবান্নের দেওয়া তালিকা থেকে ৬ জনের নাম চূড়ান্ত করে শুক্রবার রাতেই বিবৃতি দেয় রাজভবন। তারপর শনিবার সাত শিক্ষাবিদকে রাজভবের তরফে সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণ রক্ষায় রাজভবনে হাজিরও হন রাজ্যের বিদগ্ধ শিক্ষাবিদরা। যা নিয়েই ফের তরজা তুঙ্গে। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ আমন্ত্রণ জানিয়েও রাজ্যের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি রাজ্যপাল তথা আচার্য। যা বাংলার শিক্ষাবিদদের 'অপমান'।
ঘটনা কি ঘটেছে?
উপাচার্য নিয়ে রাজভবন-বিকাশ ভবন দ্বন্দ্বের মাধে নবান্নের দেওয়া তালিকা থেকে ৬ জনের নাম চূড়ান্ত করে শুক্রবার রাতেই বিবৃতি দেয় রাজভবন। সেখানে উল্লেখ, 'উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আগ্রাসী মনোভাব থেকে পিছু হঠলেন শিক্ষামন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সহমত হয়েছেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষা দফতর ৩১ জনের তালিকা পাঠিয়েছিল। সেই ৩১ জনের মধ্যে ৬ জনকে উপাচার্য পদে নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল।'
সংঘাত বাঁধে এখানেও। রাজভবনের বিবৃতির পর ওইদিনই পাল্টা পোস্টে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লিখেছিলেন, 'আমি কোথা থেকে পিছু হঠলাম সেটাই বুঝতে পারছি না।'
এদিকে শনিবার রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের জন্য রাজভবনের তরফে ডেকে পাঠানো হয় সাতজনকে। জানা যায়, নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অমিতাভ দত্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত, বিদ্যাসাগর এবং নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী সহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন- Digha: পর্যটকদের জন্য বাম্পার সুখবর! দিঘায় এবার ফাটাফাটি মজা! আর ক’দিনেই চালু দুর্দান্ত পরিষেবা
নিমন্ত্রিত শিক্ষাবিদদের মধ্য়ে পাঁচজন শনিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু, আচার্য তথা রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি।
এই নিয়েই সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, 'জানতে পেরেছি আলোচনার জন্য বেশ কয়েকজন গুণী শিক্ষাবিদকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে যে, আচার্য তাঁর অতিথি অভ্যাগতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। বদলে এক আধিকারিক ওইসব শিক্ষাবিদদের আচার্যের ক্ষমতা সম্পর্কে কথা শুনিয়েছেন। উনি শুধু অতিথি আপ্যায়ণের ভারতীয় রেওয়াজকেই কলুষিত করেননি, সঙ্গে আমাদের রাজ্যের বিদগ্ধ শিক্ষাবিদদেরও অপমান করেছেন। এভাবেই তিনি বাংলার অগ্রগণ্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে ব্যবহার করেন। লজ্জা'