রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসায় পশ্চিমবঙ্গের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দেড়শো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বাংলার প্রশংসায় রাজ্যপাল। ''দৈত্যের মতো জেগে উঠেছে বাংলা। ভারতকে পথ দেখাবে বাংলা।'' পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের রাজ্য সম্পর্কে এই ধারণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ধনকড় চ্যাপ্টার অতীত। রাজ্যপাল থাকাকালীন নানা ইস্যুতে ফি দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে দেখা যেত তাঁকে। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রথমটায় অস্থায়ী হিসেবে লা গণেশন দায়িত্ব সামলেছেন কিছুদিন। এবার পাকাপাকিভাবে বাংলায় রাজ্যপাল হিসেবে সিভি আনন্দ বোসকে নিযুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিনি যে সহযোগিতার মাধ্যমেই তাঁর মেয়াদ শেষ করতে চান তা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন বোস। রাজনৈতিক নেত্রী মমতা নন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কাজ করতে চান বলে আগেই জানিয়েছিলেন। এবার সরাসরি মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বোস।
আরও পড়ুন- সার অগ্নিমূল্য: ‘চাষ করে না খেয়ে মরতে হবে,’ হাহাকার অন্নদাতাদের
নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের দেড়শো বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অনুষ্ঠানে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন। তাঁদের সামনেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন রাজ্যপাল বলেন, ''গোটা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে ভারত। আর ভারতকে নেতৃত্ব দেবে এই বাংলা। দৈত্যের মতো জেগে উঠছে বাংলা।''
আরও পড়ুন- জোট করে রাম-বামকে ‘উচিত শিক্ষা’, পঞ্চায়েতের আগে এ এক নয়া সমীকরণ!
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই রাজ্যের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে কাজ করার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্য সিভি আনন্দ বোস। গত বুধবার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দিল্লি উড়ে গিয়ে প্রথমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ সেরেছিলেন রাজ্যপাল।