এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন তাঁদের অভিভাবকরাও। প্রতীকী অনশন শুরু করে দিলেন অভিবাকরা। পড়ুয়াদের দাবিকে মান্যতা দেওয়ার এই আন্দোলনে আজ সকাল ১০ টা থেকে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে অভিভাবকরা। মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনেই এই অনশন আন্দোলন চলছে।
একটানা সাতদিনে পড়েছে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের এই আন্দোলন। এখনও জট কাটেনি। টানা আন্দোলনের জেরে অসুস্থ হচ্ছেন একের পর এক আন্দোলনকারী। তবুও ঘুম ভাঙছে না সরকারের, ক্ষোভ বাড়ছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে তাঁর অভিভাবকদেরও। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনের ঝাঁঝ বেড়েই চলেছে।
বৃহস্পতিবার তাঁদের সঙ্গেই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন অভিভাবকরাও। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে আন্দোলনকারীদের ৬ অভিভাবকও ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন। সকাল ১০টা থেকে মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাঁরা অনশন করছেন। এদিন এক অভিভাবক বলেন, ''যতদিন পর্যন্ত ওঁরা ওঁদের লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারছে আমরা আছি।''
আরও পড়ুন- দুই নেতার দ্বন্দ্ব চরমে, শুভেন্দুর সভায় মর্মান্তিক-কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ
উল্লেখ্য, মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন-সহ বেশ কয়েকটি দাবিতে অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। আগামী ২২ ডিসেম্বর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। যদিও পরে সেই ২২-এর পরিবর্তে অন্য কোনও দিন ছাত্র ভোট হবে বলে জানানো হয়। যদিও ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঠিক কবে নাগাদ হতে পারে সেব্যাপারে স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি। সেই কারণেই ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্র সংসদের নির্বাচন প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বিষয়টি তাঁদের হাতে নেই। এব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতর নেবে বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে, স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি তাঁদের হাতেও নেই। এব্যাপারে রাজ্য সরকারই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে কার্যত দায় ঠেলেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সব মিলিয়ে মেডিক্যাল কলেজের জট কাটেনি। ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে পড়ুয়াদের অনশন আন্দোলনে আজ সাত দিনে পড়েছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীতে হুলস্থূল, কী বলছেন আন্দোলনকারীরা? এবার সোজাসাপটা উপাচার্যও
ছাত্র ভোটের দাবি ছাড়াও অধ্যক্ষকে ঘেরাওয়ের দিন মেডিক্যাল কলেজের প্যাথলজি ল্যাব বন্ধেরও উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ করা হয়েছিল। যদিও পড়ুয়াদের সেই অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষই পড়ুয়াদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিল। পাঁচ জনের সেই কমিটি সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই দিন মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীরাই সুরক্ষার স্বার্থে প্যাথলজি ল্যাবে তালা ঝুলিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।