খোঁজ মিলল হৈমন্তীর? চাকরি-বিক্রি কাণ্ডে বর্তমানে খবরের শিরেনামে থাকা হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার রাতে নাকি মালদহের চাঁচোলে ঢুকেছিলেন। তোলপাড় ফেলা এই দাবি করে হুলস্থূল ফেলে দিয়েছেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এক তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গেই নাকি হৈমন্তী চাঁচোলের একটি হোটেলে উঠেছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতার। তবে ভোর হতেই পগার পার হৈমন্তী! এমনই দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাশাপাশি ইডি-সিবিআইকেও যাবতীয 'তথ্য' দেওয়ার কথা জানিয়েছেন খগেন মুর্মু।
মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, এক তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তাঁরই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চাঁচোলের একটি হোটেলে ঢুকেছিলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। এক তৃণমূল বিধায়কই তাঁকে সঙ্গে করে চাঁচোলে এনছিলেন বলে দাবি। হৈমন্তীকে চাঁচোল থেকে বিহার হয়ে নেপালে পালিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন শাসকদলের ওই বিধায়কই, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপি নেতার।
আরও পড়ুন- বাংলায় আরও এক ‘পর্বত-সমান দুর্নীতি’? হাইকোর্ট বললেই তদন্ত! সাফ কথা CBI-র
উল্লেখ্য, চাকরি-দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষই প্রথম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন। চাকরি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী। মডেলিংয়ের পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তাঁর নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকে হঠাৎই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন হৈমন্তী। কোথাও তাঁর হদিশ মিলছে না।
আরও পড়ুন- সিদুঁরে রাঙানো সিঁথি, মুখে ডগমগ হাসি, ফের বিয়ের পিঁড়িতে সুজাতা?
যদিও তাঁর স্বামী গোপাল দলপতির দাবি হৈমন্তী নির্দোষ, কুন্তল তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, দিন কয়েক আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হৈমন্তীর মা দাবি করেছিলেন, তাঁর মেয়ে নির্দোষ। এমনকী শীঘ্রই হৈমন্তী জনসমক্ষে আসবেন বলেও জানিয়েছিলেন তাঁর মা। এরই মধ্যে বিজেপি সাংসদের চাঞ্চল্যকর দাবিতে শোরগোল তুঙ্গে।