Advertisment

পুলিশের FIR-এ নাম রয়েছে বাবা-দাদার! হাঁসখালির নির্যাতিতার মা-কে জানাল সিবিআই

সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের মুখে এমন তথ্য জানতে পেরে সোমবার ঘাবড়ে যান নির্যাতিতার মা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Hanskhali Rape

মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি।

হাঁসখালি কাণ্ডে পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে নাম নির্যাতিতার বাবা-দাদারও! চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরে মাথায় বজ্রপাত নির্যাতিতার মায়ের। সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের মুখে এমন তথ্য জানতে পেরে সোমবার ঘাবড়ে যান নির্যাতিতার মা। এদিন তাঁকে বয়ান রেকর্ডের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তখনই নির্যাতিতার মা-কে জানানো হয়, পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে তাঁর স্বামী এবং ভাসুরপোর নাম রয়েছে।

Advertisment

যদিও জেলা পুলিশের বক্তব্য, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই এফআইআরে নাম রাখা হয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার মায়ের পাল্টা দাবি, তিনি এমন কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে রাখেননি। তাহলে কেন তাঁর স্বামী এবং নির্যাতিতার দাদার নাম পুলিশের এফআইআরে তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এদিনই বয়ান রেকর্ডের জন্য নির্যাতিতার মা-কে ডেকে পাঠায় সিবিআই।

জানা গিয়েছে, বয়ান রেকর্ডের সময়ই সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা নির্যাতিতার মা-কে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি জানেন তাঁর স্বামী এবং ভাসুরপো ও দুই প্রতিবেশীর নাম রয়েছে এফআইআরে। শুনেই ঘাবড়ে গিয়ে নির্যাতিতার মা জানিয়ে দেন, এ ব্যাপারে কিছু তাঁর জানা নেই। এমনকী পুলিশকেও কারও সম্পর্কে অভিযোগ জানাননি তিনি। কিন্তু কেন তাঁর স্বামী এবং ভাসুরপোর নাম এফআইআরে রয়েছে তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ মহিলা।

আরও পড়ুন এবার শান্তিনিকেতনে আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ, লাঞ্ছিত তাঁর বন্ধু

নদিয়া জেলা পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার মায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই ওঁদের নাম এফআইআরে রাখা হয়েছে। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের দাবি, নির্যাতিতার মা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মেয়ের দেহ শ্মশানে পোড়ানোর সময় সেখানে হাজির ছিলেন মহিলার স্বামী। ভাসুরপো এবং দুই প্রতিবেশীও ছিলেন। যেহেতু নাবালিকা কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাই পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী, দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মানে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা। আইনতই পোড়ানোর সময় উপস্থিত সবার নামই এফআইআরে রাখতে হবে।

Hanskhali Rape cbi
Advertisment