রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলের জেরে হুগলির রিষড়া এখনও থমথমে। এলাকার দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ। উপদ্রুত অঞ্চলে রয়েছে পুলিশ পিকেট। এরইমধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যে পাঁচশো হনুমান জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন হবে জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ভিএইচপি জানিয়েছে, আতঙ্কের পরিবেশ থাকলেও তাঁরা সচেতন থাকবে। এদিকে রামনবমীর গন্ডগোল ইস্যুতে ভিএইচপি এনআইএ তদন্তের আবেদন করেছে আদালতে। তাছাড়া জেলায় জেলায় প্রশাসনকে ডেপুটেশন ও রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছেন সাধুসন্তরা।
বামনবমী উপলক্ষ্যে অশান্তির জেরে জেলায় জেলায় জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপির কর্মসূচি নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১১ এপ্রিল অবধি রাজ্যে এই কর্মসূচি চলবে। তবে মমতা সরকারের ওপর তাঁদের ভরসা নেই। ভিএইচপির পূর্ব ক্ষেত্রের সম্পাদক অমিয় সরকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'শুধু প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নয়, এরইমধ্যে রামনবমীর গন্ডগোলের জন্য এনআইএ তদন্তের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পরিষদ। অন্য গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে আর হাওড়ার শিবপুর ও হুগলির রিষড়ার ঘটনায় আমাদের ৭৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।' রামনবমীর ইস্যু নিয়ে ১১ এপ্রিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে সাধুসন্তরা রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে জানিয়েছেন অমিয় সরকার।
রামনবমীর দু'দিন আগে থেকে বাসন্তী পুজো থেকেই রাজ্যে শোভাযাত্রা শুরু করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আগামিকাল হনুমান জয়ন্তীও পালন করবে ভিএইচপি। সারা রাজ্যে প্রায় পাঁচশো হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালিত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহসম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহা। কোথাও প্রার্থনা সভা আবার কোথাও শোভাযাত্রাও হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- হনুমান জয়ন্তী: শেষ পর্যন্ত রাজ্যে নামছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, অশান্তি রুখতে আর কী পদক্ষেপ নবান্নের?
রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্য়ের কয়েকটি জায়গায় অশান্তি প্রসঙ্গে ভিএইচপি নেতা অমিয় সরকার বলেন, 'গন্ডগোলের সময় পুলিশ প্রশাসন হারিয়ে যায়। দেড় মাস ধরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরও জেহাদিরা বাড়ির ছাদ থেকে ইঁট-পাথর, অ্যাসিড, বিয়ারের বোতল ছুড়েছে। তাছাড়া মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যা বলেছেন তাতে একটা শ্রেণি উৎসাহিত হয়েছে। ওই শ্রেণি ভাবে অশান্তি পাকালেও পুলিশ তাদের কিছু বলবে না।' অমিয়বাবুর হুঁশিয়ারি, 'এটা ১৯৪৭ নয় এটা ২০২৩।' অমিয়বাবুর দাবি, 'একেবারে ইচ্ছাকৃত ভাবেই মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মুসলিম ভোট ব্যাংক দখলে রাখতেই তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। সামনে আবার এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে।'