Advertisment

Hawker Eviction: উচ্ছেদ-আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে! সীমাহীন উদ্বেগে গড়িয়াহাটের হকাররা

Hawker Eviction: হকার উচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়তেই গড়িয়াহাটের হকারদের ব্যবসা প্রায় লাটে ওঠার জোগাড়। দোকানিদের একাংশের বক্তব্য, এখানে দোকান ভেঙে দিয়েছে বা উঠে গিয়েছে এই ভেবেই ক্রেতাদের ভিড় কমে গিয়েছে গড়িয়াহাটে। আগের চেয়ে বিক্রি বেশ খানিকটা কমে গেছে।

author-image
Joyprakash Das
New Update
hawkers of Gariahat are suffering from the fear of eviction, গড়িয়াহাট, হকার উচ্ছেদ

Gariahat: উচ্ছেদ আতঙ্কে ভুগছেন গড়িয়াহাটের হকাররা। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।

Hawker Eviction-Gariahat: গড়িয়াহাট থেকেই শুরু হয়েছিল হকার অভিযান (Hawker Eviction)। আপাতত রাজ্যের সর্বত্র হকার উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রয়েছে। সার্ভে প্রায় শেষ পর্যায়ে। হকার উচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে পড়াতেই গড়িয়াহাটের হকারদের ব্যবসা প্রায় লাটে ওঠার জোগাড়। দোকানিদের একাংশের বক্তব্য, এখানে দোকান ভেঙে দিয়েছে বা উঠে গিয়েছে এই ভেবেই ক্রেতাদের ভিড় কমে গিয়েছে গড়িয়াহাটে। সেই বিক্রিবাট্টা আর নেই।

Advertisment

এর আগে তাঁর বাবা গড়িয়াহাটে হকারি করেছেন। তারপর দাদা করেছেন। এখন ভাই বাপ্পাদিত্য হালদারও ব্যবসা করছেন। ব্যগের দোকান। বাপ্পাদিত্য নিজে ১৮ বছর ধরে গড়িয়াহাটে হকারি করেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বাপ্পাদিত্য বলেন, "লকডাউনের (Lockdown) পর ব্যবসার হাল খারাপ। এখন আরও খারপ। বর্ষায় কাস্টমার কম। তারপর চারিদিকে শুনছে গড়িয়াহাটে হকার নেই। অনেকে ভাবছে গড়িয়াহাটে হকার নেই, ভেঙে দিয়েছে। গিয়ে কিনতে পারব কিনা। তাই আসছে না। তাছাড়া অনলাইন আছে। সারা দিনে ৮-১০ পিস ব্যাগ বিক্রি করছি। কোনও রকমে সংসার চলছে। মা, স্ত্রী, দাদা-বৌদি আছেন। সংসারের দায়-দায়িত্ব আছে।" তাঁর কথায়, "চুরি-ডাকাতি তো করবো না। সরকারকে বলবো আমাদের বিকল্প কিছু করে দিক। নাহলে হকারি করে খাচ্ছি। যেন সেটা চালু থাকে।"

১৯৯৩ থেকে গড়িয়াহাটের ফুটপাতে হকারি করছেন চন্দন যাদব। ব্যবসার হাল খারাপ বলে মাথায় হাত পড়েছে চন্দনবাবুরও। তিনি বলেন, "ব্যবসার হাল এখন খুব খারাপ। ২০১০-১২ পর্যন্ত মোটামুটি ভালো ছিল। তারপর থেকে ধুঁকছে। এখন আর চলার মতো কিছু নেই। অন্য কাজ করতে পারবো না। সুগার, প্রেসারের রোগী। একটা করে ওষুধ কিনি। পয়সায় কুলোয় না বলে রোজ ওষুধ খাই না। সরকার সরকারের কাজ করছে। পুরসভা ও পুলিশ সার্ভে করে গিয়েছে।"

publive-image
গড়িয়াহাটের ফুটপাথে উদ্বেগে হকাররা। এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।
publive-image
এক্সপ্রেস ফটো: শশী ঘোষ।

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি রওনা মমতার! কাল যোগ নীতি আয়োগের বৈঠকে

তবে শুধু হকারদের নয়, এখানে এই সব দোকানে কাজ করে কারও কারও সংসার চলে। শুভজিৎ দাস কাজ করেন ফুটপাতের এক দোকানে। শুভজিৎ বলেন, "গড়িয়াহাটের অবস্থা খুব খারাপ। বৃষ্টি হলে ঢাকা দিতে হচ্ছে। লোক দাঁড়ানোর জায়গা নেই। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মাত্র ১০০ টাকার বিক্রি হয়েছে। সরকার থেকে লোক এসে সার্ভে করে গিয়েছে। রোজগারের এটাই একমাত্র পথ। এত হকার কি করবে? এই দোকানে আমি কাজ করি। মা, বাবা আছেন বাড়িতে। গড়িয়াহাটের হকারদের নিয়ে সরকার কি সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে এখানকার হকারদের।"

আরও পড়ুন- Richest Distrcit in West Bengal: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ‘বড়লোক’ জেলা কোনটি? নাম জানলে তাজ্জব হবেনই!

kolkata news Gariahat Market Hawker Eviction
Advertisment