নবান্নে ধরনা জারি ডিএ আন্দোলনকারীদের। ধরনা তুলতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েও মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেখানেই এল বড় ধাক্কা। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বড়সড় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এদিকে, আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কী জানাল আদালত?
সিঙ্গল বেঞ্চ আগেই নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে যায রাজ্য। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে ডিএ আন্দোলনকারীদের ধরনায় বসার অনুমতি দিয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত নবান্নে ধরনা দিতে পারবেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে, উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশকে 'বড় জয়' হিসেবেই দেখছেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা।
তবে ধরনার অনুমতি দিলেও কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ধরনামঞ্চ থেকে কোনও ধরনের অবমাননাকর স্লোগান দেওয়া যাবে না। নবান্নে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধরনা কর্মসূচি নিয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার আদালতে শুনানির সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, সিঙ্গল বেঞ্চ অনুমতি দিলেও তার সঙ্গে রাজ্য সরকার সহমত নয়। এই জায়গায় সাধারণত ধরনা হয় না।
আরও পড়ুন- বছর শেষে বিরাট সুখবর! একধাক্কায় বেশ খানিকটা কমল রান্নার গ্যাসের দাম
পালটা আন্দোলনকারীদের আইনজীবী জানান, যে জায়গায় ধরনা চলছে সেটি ফাঁকা। অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শেষমেশ প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ধরনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামিকাল বিকেল ৪টের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে এই কর্মসূচি। ধরনামঞ্চ থেকে কোনও ধরনের প্ররোচনামূলক স্লোগান দেওয়া চলবে না।
আরও পড়ুন- Premium: তাঁতিপাড়ায় নেই মাকুরের খুটখাট, একে একে হারাচ্ছে বাংলার গামছা শিল্পীরা
এদিকে, তাঁদের ধরনা কর্মসূচির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও আদালতের নির্দেশে তাঁদের মনোবল বেড়েছে বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। উল্লেখ্য, গতকালই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা খুশি নন বলেই জানিয়েছেন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।