আবারও কলকাতা হাইকোর্টে বিরাট ধাক্কা শাসকদলের। বিচারপতি অমৃতা সিনহার কড়া নির্দেশের জেরে আপাতত ঝুলেই রইল মুর্শিদাবাদের রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়া। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের অস্বস্তি বহুগুণে বেড়ে গেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কংগ্রেসের মামলার প্রেক্ষিতে এদিন যুগান্তকারী নির্দেশ হাইকোর্টের। আজই এই স্থায়ী সমিতি গঠনের কথা ছিল।
আজ ঠিক কী জানাল হাইকোর্ট?
রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। ইতিমধ্যে সমিতি গঠন হয়ে গিয়ে থাকলেও ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না। সমিতি গঠন নিয়ে ভোটাভুটি হয়ে গিয়ে থাকলেও তার উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। আপাতত আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝুলেই রইল রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন প্রক্রিয়া।
রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল? কী কী অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা কংগ্রেসের?
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের অভিযোগ, স্থায়ী সমিতি গঠনের আগেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। স্থায়ী সমিতি গঠনে যাতে তাঁদের প্রতিনিধিরা হাজির থাকতে না পারেন সেই কারণেই পুলিশকে ব্যবহার করে তাঁদের গ্রেফতার করিয়েছে শাসকদল, এই অভিযোগ হাইকোর্টে মামলা করেছিল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- ED-CBI ছোঁবেই না! রাতারাতি কোটিপতি তৃণমূল নেতাদের ‘ধুঁয়াধার টিপস’ অনুপমের!
এছাড়াও রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির দুই কংগ্রেস সদস্য রবিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যার পিছনেও হুমকি-হুঁশিয়ার দেখছে কংগ্রেস। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কায়দায় মুর্শিদাবাদের এই সমিতিও দখলের তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূল। এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইভাবে এর বিহিত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল কংগ্রেস।
হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশ সম্পর্কে তৃণমূল কী বলছে?
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, "অন্য দলের প্রতীকে জেতা জনপ্রতিনিধিরা উপলব্ধি করছেন যে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে তৃণমূলের বিকল্প নেই। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে আসছেন। পঞ্চায়েতে অন্য প্রতীকে জিতেও গণনাকেন্দ্রেই অনেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মানুষ অন্য রাজনৈতিক দলের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে তৃণমূলের দিকে এলে তার দায়িত্ব আমাদের নয়।"