জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা তদন্তে রাজ্যের অস্বস্তি বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের। "জাতীয় সঙ্গীত কি দেশকে সম্মান জানাতে? নাকি অন্য পক্ষকে ফাঁসানোর জন্য?" জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার মামলায় বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিতর্কে দায়ের মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ উচ্চ আদালতের। আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী এই স্থগিতাদেশ।
বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন বিজেপি বিধায়করা পাল্টা স্লোগান তোলেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনায় জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে এরপর থানায় এফআইআর পর্যন্ত দায়ের হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার হাতে গিয়েছে তদন্তভার।
এই বিতর্কের জল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। মামলার শুনানিতে আজ বিচারপতি যা বললেন তাতে রাজ্যের অস্বস্তি বেশ বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মোটের ওপর জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় উচ্চ আদালতে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন- দু’দুটো কেন্দ্রীয় রিপোর্টে একশোয় ১০০ বাংলা! গভীর অভিসন্ধি দেখছে বঙ্গ বিজেপি
কী বললেন বিচারপতি?
এদিন বিধানসভার ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন বিচারপতি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সেই ফুটেজ দেখে জানান, তিনি শুধু তৃণমূল বিধায়কদেরই ফুটেজ দেখতে পেয়েছেন। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, বিজেপি বিধায়কদের জমায়েতের ফুটেজ অন্য ক্যামেরায় আছে। তখনই বিচারপতি বলেন, "একটি ক্যামেরায় যদি দু'পক্ষের ফুটেজই দেখা না যায় তাহলে শোনার প্রশ্ন কী করে আসে? অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ দেখছি না।" বিচারপতি এরপরেই বলে ওঠেন, "যদি হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়ে যায়, তাহলে বিছানায় শুয়ে থাকা বয়স্ক ব্যক্তিদেরও কি লাফ দিয়ে দাঁডিয়ে পড়তে হবে?" আগামী ১০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন- বিস্ময় বালকের অতুলনীয় কীর্তি! অদম্য ইচ্ছাশক্তিতেই ঝুলিতে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা, বাংলার মুখ উজ্বল