Sundarban: ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) কিংবা যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলেই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সুন্দরবন (Sundarban) এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি সহ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গত কয়েক বছর ধরেই নানারকম পরিকল্পনা করে চলেছে রাজ্য সরকার। পরীক্ষামূলকভাবে এর আগে বেশ কিছু পদক্ষেপও করা হয়েছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামরা বসানো হয়েছে। সেই উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার মাধ্যমে উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর কাজও শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনকে নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যায় শতগুণে। প্রশাসনিক তৎপরতায় সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে নদী ও সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দাদের সরিয়ে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়। তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে সেই এলাকার ওপর নজরদারি আরও বাড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ৩০টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ওই ক্যামেরাগুলির মাধ্যমে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুম থেকে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলির পরিস্থিতির ওপর সরাসরি নজর রাখা হবে। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে কাকদ্বীপ এবং সাগরের বেশ কিছু এলাকায় এমনই পাঁচটি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। এর ফলে সাম্প্রতিকতম বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের সময় এলাকায় নজরদারি চালানো থেকে শুরু করে ত্রাণ বন্টন সহ বেশ কিছু কাজে দারুণ সুবিধা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- Travel: জঙ্গল-ঝর্ণায় ঘেরা ক্যালেন্ডারের ছবির মতো এতল্লাট, কলকাতার কাছেই এপ্রান্ত এককথায় অসাধারণ!
আরও পড়ুন- WB Govt Initiative: স্বাস্থ্যে আগুনে বিদ্রোহের আবহেই শিক্ষায় বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের! কাল থেকেই শুরু প্রক্রিয়া
আরও পড়ুন- West Bengal Weather Update: ফের নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরে, আবারও ঝেঁপে বৃষ্টির পূর্বাভাস, তালিকায় কোন কোন জেলা?
এবার সেই কারণেই নদী-সমুদ্র উপকূলের বেশ কিছু এলাকায় আরও ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, এই ক্যামেরাগুলি বসেছে কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর, গোসাবা, কুলতলী, পাথরপ্রতিমা সহ সুন্দরবনের আটটি ব্লকের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।