শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্যপদগুলিতে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগে নিয়োগে স্থগিতাদেশ আদালতের। ইতিমধ্যেই যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁদেরও নিয়োগপত্র না দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। এরই মধ্যে এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে অবস্থান বদল কমিশনের। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এসএসসি-র। কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে, এদিন আদালতে এমনই জানিয়েছেন কমিশনের আইনজীবী। রাজ্যের দেওয়া শূন্যপদে চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের পুনর্বহালের আবেদন জানিয়েছিল এসএসসি।
রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া অতিরিক্ত শূন্যপদগুলিতে বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের যাতে পুনর্বহাল করা যায় সেব্যাপারে আদালতে আবেদন জানায় এসএসসি। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলা উঠলে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান আলাদা হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্য ও এসএসসি-র অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। শূন্যপদ নিয়ে রাজ্য ও এসএসসির অবস্থান আলাদা কেন?'
আরও পড়ুন- আর নিশীথের দাড়ি-গোঁফে রাগ নেই উদয়নের, কথা ফিরিয়েও দিলেন চরম হুঁশিয়ারি
আজ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এব্যাপারে রাজ্যের জবাব তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন এসএসসি তাদের পুরনো আবেদন প্রত্যাহারের কথা জানায় আদালতে। কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানান ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যানের কাছে এব্যাপারে নির্দেশিকা চলেও এসেছে। এরপরেই আদালত কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শূন্যপদগুলির মাধ্যমে নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৩০ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ মে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ৬,৮২১টি শূন্যপদ তৈরি করা হচ্ছে। এই পদগুলিতে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আদালতের নির্দেশ ও সবরকম নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হবে। এই মর্মে রাজ্য সরকারই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মূলত এই চারটি ক্ষেত্রে নিয়োগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে হলফনামা দেয় এসএসসি।
আরও পড়ুন- গরু পাচার তদন্তে ফের লটারি-ছক ফাঁস, ৫০ লক্ষেরও বেশি পেয়েছিলেন এই ব্যক্তি
যে ব্যক্তিদের চাকরি আদালতের নির্দেশে চলে গিয়েছে তাঁদের ফের পুনর্বহাল করার জন্য শূন্যপদে নিয়োগের অনুমতি চায় এসএসসি। তবে শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও এসএসসি-র অবস্থান আলাদা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। রাজ্যের জবাব তলব করেছিলেন তিনি। অবশেষে আদালতের তাপে পিছু হঠল স্কুল সার্ভিস কমিশন।