/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/19/bridga-2025-09-19-10-41-26.jpg)
Mahishadal historic bridge: দুর্গাপুজোর আগে ঐতিহ্যমণ্ডিত সেতুতে রঙের ছোঁয়া।
Mahishadal historic bridge: পান-গুটকার পিচ থেকে শুরু করে আবর্জনার স্তূপ—অবহেলায় নোংরায় ভরে গিয়েছিল মহিষাদলের অন্যতম প্রাচীন সেতুটি। ১৮৫১ সালে মহিষাদল রাজা লছমন প্রসাদ গর্গের দেওয়ান রামনারায়ণ গিরির উদ্যোগে নির্মিত এই সেতুটি ইতিহাসে সমৃদ্ধ। মহিষাদল রাজবাড়ির অনতিদূরে হিজলী টাইডাল ক্যানালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই সেতুতে ১৮৯৭ সালের ২১ অক্টোবর পদার্পণ করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আবার ১৯৪৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর এই সেতুর নীচ দিয়ে জলপথে মহিষাদলে এসেছিলেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী।
অতীত ঐতিহ্যের সাক্ষী এই সেতু দীর্ঘদিন ধরেই নোংরা ও অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। তবে সামনে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তাই পুজোর আগে সেতুটিকে নতুন রূপে সাজাতে উদ্যোগী হয়েছে মহিষাদল বিশ্বকলা কেন্দ্র ও মহিষাদল বুলেটস ক্লাব।
তাদের আহ্বানে এলাকার কচিকাঁচারা রং-তুলির আঁচড়ে ঐতিহাসিক সেতুটিকে সাজিয়ে তুলছে। সামাজিক বার্তা ও দুর্গোৎসবের আবহ মিলিয়ে নানা ছবি ফুটে উঠছে দেয়ালে।
মহিষাদল বুলেটস ক্লাবের সভাপতি দেবাশিস মাইতি বলেন, “এলাকার প্রাচীন ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তাই পুজোর আগে এই সেতুটিকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।”
আরও পড়ুন-Russia Earthquake: তীব্র কম্পনে দুলে উঠল পৃথিবী! ভয়ঙ্কর আতঙ্ক ভারতের বন্ধু দেশে, সুনামির সতকর্তা
অন্যদিকে, মহিষাদল বিশ্বকলা কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন, “কচিকাঁচাদের রঙ-তুলিতে সেজে উঠছে মহিষাদলের ঐতিহাসিক স্থান। আমাদের অনুরোধ, সবাই সেতুটিকে রক্ষা করুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। শিশুদের এই উদ্যোগ দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও উদ্বুদ্ধ হবে।”