এবার পাল্টা চাপে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দিতেই পাল্টা চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেরও। আগের মঞ্জুর করা ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায়-কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা বিশদে জানতে চেয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। গতকালই আরও ৪৮৫ কোম্পানি আধাসেনা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যকে মঞ্জুর করা সেই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর অধিকাংশই গতকাল পর্যন্তও থেকে গিয়েছে ভিনরাজ্যে। গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিএসএফ, সিআইএসএফ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দফায়-দফায় বৈঠক করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন- রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সেরেও তরুণীকে ‘ধোঁকা’! প্রেমিককে শবক শেখাতে কী ঘটালেন তরুণী?
যদিও এখনও পর্যন্ত আধাসেনা কোথায়-কোথায় মোতায়েন করা হবে সেব্যাপারে পাকাপাকিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আরও বাহিনী আনতে হবে রাজ্যে। সেই মতো গতকালই আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপরেই কমিশনকে পাল্টা চিঠি শাহের মন্ত্রকের।
এপ্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'কমিশন বাহিনী চাইলে বাহিনী পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ। সাতদিন আগে থেকে কী করে বলা সম্ভব ওই জেলাতেই যাবে। ইতিমধ্যেই বাহিনী কিছু জেলায় গেছে। জোর করে বাহিনী দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কমিশন আইন মেনে সিদ্ধান্ত নেবে। এক্তিয়ার বহির্ভূত চিঠি লিখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রশাসনের ভূমিকা ছেড়ে রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক আর সেনাবাহিনী আসুক, বিজেপি হারবে, তৃণমূল জিতবে। এটা কি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল?'