রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করছে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে। জানা গিয়েছে, এমনকী তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে'বালুদা' বলে জনৈকের নামের উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে লেনদেনের হিসেব। যদিও এসব রহস্যের খোলাসা হওয়ার আগেই ফের অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন সমাজ ও আইন গবেষক এবং আারটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী।
বিশ্বনাথ গোস্বামী সরাসরি ইডির কাছে অভিযোগ করেছেন যে, 'বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের মতো শিল্প সংস্থা সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন অভিজিৎ দাস। বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের অন্যতম সদস্য গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক। একজন শিল্পপতি না হয়েও কি করে তিনি ওই সংগঠনে যুক্ত থাকেন। তাঁর পরিচালনাধীন সংস্থাগুলি আদৌ বাস্তবে কাজ করছে? কিভাবে সেই সব সংস্থা হস্তান্তরিত হয়েছে?' তাঁর দাবি, 'এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এ বিষয়ে তদন্ত করলেই নতুন নতুন তথ্য মিলবে। যা রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় নয়া দিশা দেখাবে।'
আরও পড়ুন- ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে? আমাদের লিডার?’ পাল্টা প্রশ্ন জ্যোতিপ্রিয়র!
কালো টাকা সাদা করার জন্যই নানা ভূয়ো সংস্থা তৈরি করা হয়। অর্থ পাচার করার এটা একটা বড় কৌশল বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। এর আগেও বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে এমন ভূয়ো সংস্থার হদিশ মিলেছে। বিশ্বনাথ গোস্বামীর অভিযোগ, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস একাধিক ভূয়ো কোম্পানির মাথা। মায়াপুর মার্চেন্ডাইস প্রাইভেট লিমিটেড, আনন্দ ট্রেড কনসালটেন্ট লিমিটেড, প্রিমিয়ার স্পোর্ট টুরিজম প্রাইভেট লিমিটেড, হার্মেস ভয়েজেস প্রাইভেট লিমিটেড, এই কোম্পানিগুলির পরিচালন পরিষদে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও অভিজিতের পরিবারের সদস্যদের নাম মিলেছে। তবে সমস্ত সংস্থার শীর্ষ কর্তা অভিজিৎ দাস। এই সংস্থাগুলির কার্যকলাপ তদন্ত করে দেখলেই সব জালিয়াতি ধরা পড়বে। পাশাপাশি বিসিসিআইয়ের উচ্চপদেও রয়েছেন অভিজিৎ দাস।' কোন যাদুবলে, কার ক্ষমতার জোরে এই ধরনের শিল্প সংগঠনে বড় পদ পেতে পারেন অভিজিৎ দাস? তাঁদের খুঁজে বের করলে ইডির তদন্ত গতি পাবে বলে মনে করছেন বিশ্বনাথ গোস্বামী।
এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে যে, বিশ্বজিত দাসের সংস্থা হার্মেস ভয়েজেস বিসিসিআইয়ের সদস্য। হার্মেস ভয়েজের সিআইএন নম্বর আছে। সংগঠনের এতে কিছু করার নেই। অভিজিৎ দাস একটা কর্পোরেট অফিসের ডিরেক্টর। ওটা রেজিস্টার্ড কর্পোরেট অফিস। এই সংগঠনে কোনও ব্যক্তিগত মেম্বার হয় না। সংস্থা অনুযায়ী সদস্য হয়।