/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/03/cats-2025-09-03-19-19-45.jpg)
ইশার মা-বাবা
Krishnanagar Murder Update: টিআই প্যারেডে দেশরাজকে শনাক্ত করল খুন হওয়া ছাত্রী ইশা মল্লিকের পরিবার। বুধবার বিকেলে টিআই প্যারেড শেষ হলে সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে ইশা মল্লিকের মা কুসুম মল্লিক দাবি করেন, 'আমি আমার মেয়ের খুনিকে একশো শতাংশ চিনতে পেরেছি।'
বুধবার সকাল থেকেই টিআই প্যারেডের প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুপুরে কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারে আসেন ইশার মা, বাবা ও ভাই। সংশোধনাগারে ম্যাজিস্ট্রেটও আসেন। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে টিআই প্যারেড সম্পন্ন হতে বিকেল হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগর মানিকপাড়ায় বাড়ির দোতলায় উঠে ছাত্রী ইশা খানকে খুন নিয়ে তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইশা খুন হওয়ার আগে বাঁচার মরিয়া চেষ্টা করেছিল। দেশরাজ সমস্ত সম্পর্কের ইতি টানার আগে দুজনের মধ্যে পুরনো সমস্ত কথা তোলে। এই সময় দুজনের মধ্যে ধ্স্তাধস্তি হয়। অস্ত্র দেশরাজের উত্তরপ্রদেশের প্রতিবেশী নীতিনই কি দিয়েছিল? সেই পিস্তলটা কোথায়? তদন্তকারীরা এই সমস্ত কিছুর হদিস পেতে দেশরাজের মামার মতো বাবা রঘুবিন্দর প্রতাপ সিংকেও ধরতে চাইছেন।
সেক্ষেত্রে রাজস্থানের জয়সলমীরে কর্মরত রঘুবিন্দর প্রতাপ সিংয়ের বিএসএফের দপ্তরে কোর্ট অর্ডার করা হলেও এখনও পর্যন্ত দপ্তর থেকে রিলিজ না করায় ফের কোর্ট অর্ডারের প্রক্রিয়া করতে চলেছে কৃষ্ণনগর পিডির পুলিশ। এক্ষেত্রে তদন্তকারীদের দাবি, ইশা খুনে সমস্ত ঘটনা জানে এই তিনজন। এই তিনজনের মধ্যে দুজন ধরা পড়েছে। বাকি আছে দেশরাজের বাবা রঘুবিন্দর প্রতাপ সিং। তবে এরই মধ্যে বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংশোধনাগারে টিআই প্যারেড হয়। দেশরাজকে চিহ্নিত করতে এই টিআই প্যারেডে দেশরাজের সঙ্গে ওই রকম আদপ কায়দার কয়েকজনকেও রাখা হয়।
২৫ আগস্ট দুপুরে ইশা মল্লিক খুন হওয়ার পর দেশরাজের মুখোমুখি হয়েছিল ছাত্রীর মা কুসুম মল্লিক ও ইশার ভাই। এই টিআই প্যারেডে তারা ছিল। তারা দেশরাজকে চিহ্নিত করার পর পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চাইছে।
এই খুনের তদন্তে ইতিমধ্যে ইশা খুন হওয়ার পর পরে থাকা রক্ত, চুল, মাথার ক্লিপ, জুতো মোবাইল ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। তবে ইশার মাথায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তিনটে ইনজুরি থাকলেও প্রতিবেশী থেকে নিচে থাকা দাদু দুটি গুলির শব্দ পেয়েছিল। তাই ময়নাতদন্তের চিকিৎসকের কাছে এ নিয়ে তদন্তকারীরা বিষয়টি জানতে চেয়েছে। আঘাতের ধরন কি, কেমন এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের দেশরাজের প্রতিবেশী নীতিন সিং এ রাজ্যে ১৯-২৪ আগস্ট আসে। সেই কি দেশরাজকে এই খুনে ব্যবহৃত পিস্তল দিয়েছিল? এরকম কিছু বিষয়ের খটকা দূর করতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে পুলিশের কাছে উদ্বেগে নতুন প্রজন্ম যেভাবে অন লাইন গেমে মজে যাচ্ছে তা নিয়ে। তাতে একটা ভার্চুয়ালি জগতে থাকছে।
যদিও দেশরাজ ইশার প্রেমে প্রত্যাখিত হওয়ার পর থেকে এই খুন নিয়ে প্রস্তুতি নেয়। খুনের ৮ দিনের মাথায় দেশরাজকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তারপর এদিন সকাল থেকে দেশরাজকে সনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই মতো টি আই প্যারেডের জন্য আসে ইশার মা ভাই। তাদের সঙ্গে ছিলেন বাবা দুলাল মল্লিক।মা কুসুম মল্লিক বলেন, আমি আমার মেয়ের খুনিকে একশো শতাংশ চিনতে পেরেছি। দেখার পর আমি ভাবলাম আমার একটা নিষ্পাপ মেয়েকে কীভাবে খুন করতে পারলো। আমি খুনির কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি চাইছি।'
খুন হওয়া ইশা মল্লিকের বাবা দুলাল মল্লিক বলেন, ' পুলিশের প্রতি আমার আশা ও ভরসা ছিল।এবার আদালতের উপর পূর্ণ ভরসা রয়েছে।।আমি চাই অভিযুক্তর যাতে ফাঁসির সাজা হয়।' পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই খুনে পুলিশ যাকে ধরেছে মল্লিক পরিবার টি আই প্যারেডে তাকেই সনাক্ত করেছে।