Uttam Kumar: 'উত্তম উন্মাদনায়' এলাহি আয়োজন,'ফ্যান ক্লাব' গড়ে ২৭ বছর ধরে মহানায়ককে 'সম্মান' অটোচালক দীপঙ্করের

Uttam Kumar: ছোট থেকেই পর্দার মহানায়কই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। উত্তমকুমারের নামে ‘ফ্যান ক্লাব’ খুলে ফেলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুমোরহাটের বাসিন্দা দীপঙ্কর নস্কর।

Uttam Kumar: ছোট থেকেই পর্দার মহানায়কই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। উত্তমকুমারের নামে ‘ফ্যান ক্লাব’ খুলে ফেলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুমোরহাটের বাসিন্দা দীপঙ্কর নস্কর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Uttam Kumar

'উত্তম উন্মাদনায়' 'ফ্যান ক্লাব' গড়ে ২৭ বছর ধরে মহানায়ককে 'সম্মান' অটোচালক দীপঙ্করের

Uttam Kumar: ছোট থেকেই পর্দার মহানায়কই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। উত্তমকুমারের নামে ‘ফ্যান ক্লাব’ খুলে ফেলেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুমোরহাটের বাসিন্দা দীপঙ্কর নস্কর। ২৭ বছর ধরে কার্যত একার উদ্যোগে নিয়ম করে উত্তম-স্মরণ করে আসছেন তিনি। প্রতি বছরই উত্তমকুমারের জন্ম ও মৃত্যু দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পর্দা লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে উত্তমকুমারের সিনেমা দেখান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বুধবার, উত্তমকুমারের ৯৯তম জন্মদিনেও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তিনি। বছরভর ধুমধাম করে জন্মশতবর্ষ পালনের পরিকল্পনা রয়েছে দীপঙ্করের।

Advertisment

নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে দীপঙ্কর। মা-ও ছিলেন উত্তম-ভক্ত। তাঁর উৎসাহেই উত্তমের সিনেমার সঙ্গে পরিচয় দীপঙ্করের। মায়ের হাত ধরেই সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেন মহানায়কের একের পর এক সিনেমা। বর্তমানে সাতচল্লিশ পেরোনো দীপঙ্করের উত্তমকে নিয়ে এ হেন মাতামাতি শুরু তাঁর কুড়ি বছর বয়স থেকে। সে সময় থেকেই জন্ম ও মৃত্যুদিনে উত্তম-স্মরণে সাধারণ মানুষকে সিনেমা দেখানো শুরু করেন তিনি। বাড়ির কাছেই একটি মাঠে প্রথমে পর্দা বেঁধে সিনেমা দেখাতেন। পরে টিভি, ক্যাসেট ভাড়া করতেন। বহু মানুষ জড়োও হয়ে সিনেমা দেখতে।

বছর দশেক আগে বিষয়টি চোখে পড়ে বারুইপুরের পুরপ্রধান শক্তি রায়চৌধুরীর। তিনি বারুইপুর রাস মাঠে ওই অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমানে রাস মাঠে উত্তমের জন্ম ও মৃত্যু দিনে দু’দিন ধরে সিনেমা দেখানোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হচ্ছে। গত জুলাইয়ে উত্তমকুমারের মৃত্যু দিনে রাস মাঠে উত্তমকুমারের একটি মূর্তিও বসেছে।

Advertisment

কুড়ি বছর বয়সে দীপঙ্কর তৈরি করেছিলেন উত্তমকুমার ফ্যান ক্লাব। তাঁর সঙ্গে জুটে যান আরও কিছু উত্তম-অনুরাগী। তবে দীপঙ্করের উত্তম-উন্মাদনা ছিল আলাদা মাত্রার। নিজের অটোর সামনেও বড় বড় করে ‘উত্তমকুমার ফ্যান ক্লাব’ লিখে রেখেছেন। ফি বছর জন্ম-মৃত্যু দিনে অনুষ্ঠান করতে কার্যত একাই দিন-রাত এক করে চাঁদা সংগ্রহ করেন। মূর্তি বসাতেও লড়াই চালিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই উন্মাদনার জন্যেই পাড়া-প্রতিবেশী, অটো চালক সহকর্মীরা দীপঙ্করকেই উত্তমকুমার নামে ডাকেন! দীপঙ্করও ভালবাসেন নিজেকে সে নামে পরিচয় দিতে। নিজেই জানালেন, অনেকেই আজকাল আর তাঁর আসল নাম মনে করতে পারেন না।

উত্তম কুমারের ৯৯ তম জন্মদিবসে তাই 'গুরুর ছবি' দিয়ে মন্ডপ সাজিয়েছেন দীপঙ্কর। সকাল থেকে নিজে হাতে সেরেছেন সমস্ত কাজ। সকাল থেকে গোটা এলাকায় মাইকে বাজছে উত্তম কুমারের অভিনীত ছায়াছবির গান।

আরও পড়ুন- বাঙালি বিদ্বেষের 'খণ্ডচিত্র' ফুটে উঠবে পুজো মন্ডপেও, দুর্গাপুজোতেও সমাজ-রাজনীতির প্রতিচ্ছবি

Uttam Kumar